Published : 07 Apr 2025, 12:33 PM
ধুঁকতে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রেরণার রসদ পেয়েছে জাসপ্রিত বুমরাহকে ফিরে পেয়ে। তার মতো তারকা মাঠে ফেরায় আইপিএলেও যেন ছোঁয়া লেগেছে নতুন প্রাণের। কৌতূহলের কেন্দ্রে এখন এই ফাস্ট বোলার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অবশ্য এসব উপভোগ করার কারণ নেই। ২২ গজে বুমরাহর গোল প্রথম সামলাতে হবে যে তাদেরকেই!
বেঙ্গালুরুর অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান টিম ডেভিড অবশ্য বললেন, চ্যালেঞ্জটা নিতে প্রস্তুত তাদের দল। প্রথম বলেই চার বা ছক্কা মেরে বুমরাহকে স্বাগত জানাতে চান তারা।
সব ঠিকঠাক থাকলে সোমবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়ে তিন মাস পর চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরবেন বুমরাহ।
এতদিন পর ফিরে কতটা ছন্দে থাকবেন তিনি, সেটি বোঝা যাবে খেলা শুরুর পরই। তবে বুমরাহর মানের একজনকে নিয়ে সংশয় আসলে কমই। তিনি থাকা মানেই দলের বড় আশা আর যে কোনো প্রতিপক্ষের বড় শঙ্কা।
এই ফাস্ট বোলারকে সেই সম্মান ও সমীহ করছেন ডেভিডও। তবে সেরা বোলারকে সামনে পেয়ে তারাও উজ্জীবিত, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বললেন আগ্রাসী ব্যাটসম্যান।
“বুমরাহ তো সময়ের সেরা বোলার হিসেবে অনেকের কাছেই স্বীকৃত এবং বেঙ্গালুরুতে এই ধরনের চ্যালেঞ্জটাই আমরা নিতে চাই। টুর্নামেন্টের গভীরে এগিয়ে যেতে হলে সেরা দলকে, সেরা ক্রিকেটারদের হারাতে হবে আমাদের। আশা করি, বুমরাহ কালকে (সোমবার) প্রথম ওভারটি করবে এবং প্রথম বলটিতেই চার কিংবা ছক্কা হবে। আমাদের ওপেন যে-ই করুক, একটি বার্তা দেওয়া হবে এতে।”
“তাকে (বুমরাহকে) এই টুর্নামেন্টে ফিরে পাওয়া দারুণ ব্যাপার, কারণ তার মতো একজন থাকা মানে খেলাটাই আরও ভালো হয়ে ওঠা।”
বেঙ্গালুরুর হয়ে ইনিংস শুরু করেন ভিরাট কোহলি ও ফিল সল্ট। স্ট্রাইকে যে থাকবেন, ডেভিডরা তাকিয়ে থাকবেন তার দিকেই।
ডেভিডের নিজের চ্যালেঞ্জটাও কম নয়। তিনি সাধারণত ‘ফিনিশারের’ ভূমিকা পালন করেন। যে জায়গায় তিনি নামেন ব্যাটিংয়ে, সেই সময়টাতেও বুমরাহ বেশ ভয়ঙ্কর থাকেন। শেষের ওভারগুলোয় বিশেষ করে তার ইয়র্কারে খাবি খায় দুনিয়াজোড়া তাবত ব্যাটসম্যানরা।
ডেভিড অবশ্য এই পরীক্ষাই উপভোগ করেন। গত দুই ম্যাচে ৮ বলে ২২ ও ১৮ বলে ৩২ রান করা ব্যাটসম্যানের তর সইছে না বুমরাহর মুখোমুখি হতে।
“আমি চেষ্টা করব পায়ের অগ্রভাগ সরিয়ে নিতে, কারণ তার ইয়র্কার বেশ ভয়ঙ্কর। সে দুর্দান্ত বোলার এবং যখন কেউ সেরা দল ও সেরা ক্রিকেটারদের বিপক্ষে বড় কিছু করে, তখন সেই অনুভূতির তুলনীয় কিছু নেই। সেরাদের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জ পেতেই ভালো লাগে এবং আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।”
গত জানুয়ারির শুরুতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সিডনি টেস্ট পিঠের চোটে পড়েন বুমরাহ। ওই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি। দেশে ফেরার পর থেকেই তিনি মাঠের বাইরে। তাকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হন ভারত। পুরোপুরি ফিট হতে এবং কোনো ঝুঁকি না নিতে তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে নিজেকে তৈরি করেন তিনি। অবশেষে শেষ হচ্ছে তার অপেক্ষা। অবসান হচ্ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও ভারতীয় ক্রিকেটের অপেক্ষাও।