Published : 12 Apr 2025, 11:37 PM
আসরে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। অবশেষে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন আভিশেক শার্মা। খুনে ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করে একটি আক্ষেপ ঘোচালেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। রান তাড়ায় দুর্দান্ত এক জয় পেল তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে শনিবার হায়দরাবাদের জয় ৮ উইকেটে। ঘরের মাঠে ২৪৬ রানের লক্ষ্য ৯ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
আইপিএলের দেড় যুগের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। গত আসরে পাঞ্জাব কিংস সর্বোচ্চ ২৬২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।
হায়দরাবাদের জয়ের নায়ক আভিশেক। ১০ ছক্কা ও ১৪ চারে ৫৫ বলে ১৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
আইপিএলে আট আসরে অংশ নিয়ে ৬৯ ম্যাচে তার প্রথম শতক এটি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব মিলিয়ে তার সাতটি সেঞ্চুরি হয়ে গেল ১৩৮ ম্যাচে। এর মধ্যে দুটি ভারতের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
এদিন তার ৪০ বলে সেঞ্চুরি আইপিএলে পঞ্চম দ্রুততম, হায়দরাবাদের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম। গত আসরে দলটির হয়ে ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ট্রাভিস হেড। ২০১৩ আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩০ বলে সেঞ্চুরি করে চূড়ায় আছেন ক্রিস গেইল।
আইপিএলে আভিশেকের চেয়ে বড় ব্যক্তিগত ইনিংস আছে কেবল দুটি। ৩০ বলে সেঞ্চুরির ম্যাচে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। ২০০৮ সালে উদ্বোধনী আসরের প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে অপরাজিত ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।
এবারের আসরে প্রথম পাঁচ ম্যাচে আভিশেকের রান ছিল স্রেফ ৫১, সর্বোচ্চ ইনিংস প্রথম ম্যাচের ২৪, ছিল না কোনো ছক্কা।
এবার পাঞ্জাবের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা ছিল বড়। লক্ষ্য যে বিশাল। দ্বিতীয় ওভারে মুখোমুখি প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেন আভিশেক। পরের বলে একটি সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি, তবে বলে হাত ছোঁয়ালেও কঠিন ক্যাচটি নিতে পারেননি মার্কাস স্টয়নিস।
ওই বলে দুই রান নেওয়ার পর আভিশেক চার মারেন টানা তিনটি। ২৮ রানে ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়লেও তিনি বেঁচে যান বোলারের ‘নো’ বলের কল্যাণে। পঞ্চাশে পা রাখেন ১৯ বলে।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর আরেকবার তিনি জীবন পান বোলার ইউজবেন্দ্রা চেহেল ক্যাচ ফেলায়। ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রেখে সেঞ্চুরির ঠিকানায় পৌঁছে যান ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
তার সঙ্গে ৭৫ বলে ১৭১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফেরেন হেড (৩৭ বলে ৬৬)। দলের জয় থেকে ২৪ রান দূরে থাকতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় আভিশেকের বিস্ফোরক ইনিংস।
ইশান কিষানকে নিয়ে বাকিটা অনায়াসে সারেন হাইনরিখ ক্লসেন।