Published : 15 Jul 2023, 08:24 PM
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি নেই তিন মাসও। চূড়ান্ত হয়ে গেছে সূচিও। কিন্তু ভারতে অনুষ্ঠেয় বৈশ্বিক আসরে খেলা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পাকিস্তান দল। অপেক্ষায় আছে তারা সরকারের সবুজ সংকেতের। দলটির সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক খুব করেই চাইছেন, বিশ্ব মঞ্চে খেলুক তার উত্তরসূরিরা। তার মতে, সেটা না হলে সমর্থকদের সঙ্গে অন্যায় করা হবে।
ভারত ও পাকিস্তান লড়াই নিয়ে ক্রিকেটে সবসময়ই থাকে উত্তেজনা। রাজনৈতিক বৈরিতায় আইসিসি, এসিসির প্রতিযোগিতা ছাড়া এখন আর এই দুই দলকে মুখোমুখি হতে দেখা যায় না। বিশ্বকাপে আগামী ১৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে মাঠের লড়াইয়ে নামার কথা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের।
ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আপত্তি নেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। এখন প্রয়োজন সরকারের অনুমতি। করাচিতে একটি অনুষ্ঠানে মিসবাহ বললেন, সমর্থকদের জন্য হলেও ভারতে যাওয়া উচিত পাকিস্তানের।
“অন্য খেলার জন্য যখন দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ থাকতে পারে, তাহলে ক্রিকেটে কেন নয়? রাজনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে ক্রিকেটকে যুক্ত করা হয় কেন? ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের বিপক্ষে খেলছে মানুষকে এটা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা অন্যায়।”
“যারা পাকিস্তান ও ভারতের ক্রিকেট অনুসরণ করে, তাদের জন্য বড় ধরনের অবিচার।”
রাজনৈতিক শীতল সম্পর্কের কারণে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি হয়নি ভারত। এখন সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্ট হবে হাইব্রিড মডেলে। যেখানে চারটি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে, নয়টি নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কায়। ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলবে দ্বীপদেশটিতে।
মিসবাহর মতে, ভারত ও পাকিস্তান দুই দলকেই প্রতিবেশী দেশে গিয়ে খেলা উচিত।
“অবশ্যই, এমনকি ভারতে হলেও পাকিস্তানের বিশ্বকাপে খেলা উচিত। আমি ভারতে যতবার খেলেছি, সেখানে চাপ এবং দর্শকদের উপস্থিতি উপভোগ করেছি, কারণ এটা অনুপ্রেরণা দেয়, আর ভারতের কন্ডিশন আমাদের জন্য মানানসই।”
তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মাঠের বাইরের বিষয়ে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিলেন দলটির সাবেক কোচ মিসবাহ। ভারতে ভালো করার পথও বাতলে দিলেন তিনি।
“তাদের (ক্রিকেটার) বলয়ের বাইরে কী ঘটছে, সেসব নিয়ে তাদের ভাবা উচিত নয়। ভারত বিশ্বকাপে ভালো করার মূল হতিয়ার হলো, নির্দিষ্ট ভেন্যু ও প্রতিপক্ষের জন্য সঠিক একাদশ নির্বাচন করা।”
আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ৯ নভেম্বর শেষ হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেন, ১০ দলেরই বৈশ্বিক আসরে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।
মিসবাহর মতো ভাবনা তার সাবেক সতীর্থ শাহিদ আফ্রিদিরও। সাবেক এই অধিনায়কের মতে, ভারতে গিয়ে খেলে বিশ্ব সেরার মুকুট ঘরে তোলা উচিত পাকিস্তানের।
“সেখানে চাপ আছে কিন্তু মজাটা হলো সেই চাপের মধ্যে খেলা। লোকে বলছে, আমাদের ভারতে যাওয়া উচিত নয় এবং বিশ্বকাপ বয়কট করা উচিত। কিন্তু আমি পুরোপুরি এর বিপক্ষে। পাকিস্তানের ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ জেতা উচিত।”
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে আগামী ৬ অক্টোবর, বাছাই পেরিয়ে আসা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।