Published : 05 Apr 2024, 06:48 PM
সাড়ে চার মাস সময়ের মধ্যে পাকিস্তান জাতীয় দলে নেতৃত্বের পালাবদল হয়েছে দুই দফায়। পিসিবির অধিনায়ক বদলের পুরো প্রক্রিয়াটা মোটেও ভালো লাগেনি মিসবাহ-উল-হাকের। দেশটির সাবেক এই অধিনায়কের মতে, এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দলের ক্রিকেটারদের ওপর।
ভারতে অনুষ্ঠিত গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর ১৫ নভেম্বর সব সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন বাবর আজম। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে তখন বলা হয়েছিল, মূলত বোর্ডের চাপে নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য হন এই ব্যাটসম্যান।
পরে টেস্ট দলের নেতৃত্ব দেওয়া হয় শান মাসুদকে, টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব পান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওয়ানডে ম্যাচ তখন ছিল না বলে কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
আফ্রিদির নেতৃত্বে নিউ জিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। ওই এক সিরিজেই শেষ হয়ে যায় এই পেসারের নেতৃত্বের অধ্যায়। তাকে সরিয়ে বাবরকে সাদা বলের দুই সংস্করণের নেতৃত্বে ফেরানোর কথা গত মাসের শেষ দিন জানায় পিসিবি।
বাবরকে নেতৃত্বে ফেরানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। মিসবাহ বৃহস্পতিবার লাহোরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, নেতৃত্বে বদল আনার ক্ষেত্রে সঠিক পন্থা অবলম্বন করেনি বোর্ড।
"পাকিস্তানে অধিনায়ক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া খুবই অপ্রীতিকর এবং এটা খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করে। ভুল পদ্ধতিতে বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শাহিন আফ্রিদির ক্ষেত্রেও তাই হলো।”
“বাবর ও শাহিন দুজনই আমাদের তারকা খেলোয়াড়। দলের জন্য আমার শুভকামনা, আমি আশা করি, তারা ভালো পারফর্ম করবে।”
আগামী ১৮ এপ্রিল ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শুরু হবে বাবরের নেতৃত্বের নতুন অধ্যায়।