Published : 18 Oct 2023, 05:58 PM
কোচ-অধিনায়কসহ বাংলাদেশ দলের অন্যরা উইকেট খুব ভালোভাবে দেখে নিয়েছেন মঙ্গলবারই। আরেক দফায় তারা নিশ্চিতভাবেই পর্যবেক্ষণ করবেন বুধবার অনুশীলনের সময়। উইকেট কেমন মনে হলো তাদের, জানা যায়নি এখনও। তবে ভারতীয় দলের জন্য উইকেট অনেকটাই চেনা। নিজেদের করণীয়টুকুও তাই তাদের জানা। দুই দিনের অনুশীলনে তারা এখানে শুধু রেঞ্জ হিটিং, বড় শটের অনুশীলনই করেছে। এই উইকেট আর মাঠের দাবিটাই যেন এমন, এখানে খেলা হবে চার-ছক্কার।
পুনে শহর থেকে অনেকটা দূরে গাহুঞ্জে গ্রামে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে এই মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে উচ্চতা তাই বেশ। বল খুব ভালোভাবে ব্যাটে আসে। বাউন্সও থাকে সমান।
বরাবরই এই মাঠের উইকেট বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাটসম্যানদের দিকে। এখনও পর্যন্ত ৭টি ওয়ানডে হয়েছে এখানে। ১৪ ইনিংসের ৮টিতেই রান পেরিয়ে গেছে তিনশ। কোনো দল এখানে ২৩০ রানের কম করেনি এখনও পর্যন্ত।
সবশেষ যে সিরিজটি এই মাঠে হয়েছিল, সেটিতে ৬ ইনিংসের ৫টিই ছিল তিনশ ছাড়ানো। এক ম্যাচে ৩৩৭ রান তাড়ায় ৩৯ বল বাকি রেখেই ভারতকে হারায় ইংল্যান্ড। আরেকটিতে ভারতের ৩২৯ রান তাড়ায় ইংলিশরা পৌঁছে যায় ৩২২ পর্যন্ত।
শুধু উইকেট ব্যাটিং সহায়ক বলেই নয়, এই মাঠের সীমানা তুলনামূলকভাবে বেশ ছোট। আউটফিল্ড দুর্দান্ত। সব মিলিয়েই এখানে রানের স্রোত বয়ে যায়।
সবশেষ এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছে গত জানুয়ারিতে। সেই টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে তোলে ২০৬ রান। রান তাড়ায় ভারত ৫ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারানোর পরও ১৯০ রান করতে পারে।
গত আইপিএলের কোনো ম্যাচ এই মাঠে হয়নি। তবে ২০২২ আইপিএলে এখানে হয়েছিল ১৩টি ম্যাচ। বেশির ভাগ ম্যাচেই ব্যাটসম্যানদের মুখে ছিল হাসি। আর ব্যাটসম্যানদের খুশি মানেই তো বোলারদের চোখেমুখে আঁধার!
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বোলিং কোচ পারাস মামব্রে বললেন সেই চ্যালেঞ্জের কথাই। ভারতের সাবেক এই পেসার ব্যাখ্যা করলেন, কেন এখানে বোলারদের কাজটা কঠিন।
“উইকেট যদি দেখেন, সবসময়ই এটা ভালো উইকেট। যে কোনো ম্যাচেই, টি-টোয়েন্টি হোক বা ওয়ানডে, ধারাবাহিকভাবেই এটা ভালো উইকেট। বোলিং ইউনিট হিসেবে এটা চ্যালেঞ্জিং উইকেট। কারণ, বল খুব ভালোভাবে ব্যাটে আসে। অন্যান্য ভেন্যুগুলোর তুলনায় মাঠ ছোট। (সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে) বেশ উঁচুতে এই মাঠ। এজন্য আমার মনে হয়, অনেক বেশি চার-ছক্কা হবে। কাজেই কাজটা চ্যালেঞ্জিং (বোলারদের জন্য)।”
তবে কাজ কঠিন মানেই তো আর অসহায় অপেক্ষায় থাকলে চলবে না। বোলারদেরও নিজেদের কাজ করার চেষ্টা করতে হবে ব্যাটসম্যানদের দমিয়ে রাখতে। ভারতীয় বোলাররাও সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের জন্য স্কিল ও মানসিক দিক থেকে তৈরি বলে জানালেন মামব্রে।
“আমরা এটা নিয়েই কথা বলি যে কীভাবে চ্যালেঞ্জকে আলিঙ্গন করতে পারি। কোন জায়গাগুলোয় মনোযোগ দিতে পারি। আমাদের যা করা প্রয়োজন, তা করার চেষ্টা করব। সব মিলিয়ে আমরা জানি, উইকেট কেমন হতে যাচ্ছে। এখন ব্যাপারটি হলো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার এবং আমাদের যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। এছাড়া আর কিছু আমাদের হাতে নেই।”