Published : 28 May 2025, 08:28 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের পর পুলিশ জানিয়েছে, নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতিতে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার ভোরে নগরীর পাহাড়তলি থানার দক্ষিণ কাট্টলী জেলে পাড়া ও নোয়াপাড়া এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পারভেজ ওরফে ‘অপশন’ পারভেজ (২৫) এবং রিয়াজুর রহমান ওরফে ‘টাকলা’ মুরাদ (২২)।
পারভেজের কাছ থেকে একটি রিভলবার ও ৩২ ক্যালিবারের পাঁচটি গুলি, ছোরা এবং দা উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার বিকালে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ কাট্টলী জেলে পাড়া পিসি রোড শুকতারা গ্যারেজ এলাকায় রাতে অভিযান চালানো হয়।
“অস্ত্র, গুলি ও ছোরা নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পারভেজকে গ্রেপ্তার করা গেলেও তার দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। তার কাছে থাকা একটি শপিং ব্যাগ থেকে অস্ত্র, গুলি, ছোরা ও দা জব্দ করা হয়।”
পরে ভোর রাতে পাহাড়তলি থানার নোয়াপাড়া ঝোলাপাড়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের আরেক সদস্য রিয়াজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা কবির ভূঁইয়া বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, অস্ত্র ও গুলি গত বছরের ৫ অগাস্ট পাহাড়তলি থানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সময় থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট করা হয়েছিল।
“দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা এসব অস্ত্র ও গুলি নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অন্ধকার নির্জন স্থানে চলাচলরত পথচারী, অটোরিকশা চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করত বলে জানিয়েছে।”
আসামিদের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে পুলিশ কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া বলেন, তারা পাহাড়তলী থানার টোল রোড এলাকায় বিদেশগামী যাত্রী, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটক, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগত বিভিন্ন লরি-ট্রাক-কভার্ড ভ্যান আটকে অস্ত্র-গুলি ও ছোরার ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থাকা বিভিন্ন পণ্য, নগদ টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিতেন।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।