Published : 28 May 2024, 10:01 PM
পরিবেশ রক্ষা করেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের আঞ্চলিক পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের খসড়া প্রতিবেদন’ এর উপর অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।
কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে সংশ্লিষ্ট পরিবেশগত এবং সামাজিক ঝুঁকি এবং প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মহাপরিকল্পনাটি তিন ধাপে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রথম দুই ধাপ পাঁচ বছর মেয়াদি এবং তৃতীয় ধাপ ১০ বছর মেয়াদি।
কর্মশালায় শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, “দীর্ঘমেয়াদে ইইউসহ উন্নত বিশ্বের বাজার ধরতে চাইলে সবুজ এবং টেকসই শিল্পায়নের বিকল্প নেই। তাই আমরা সেভাবেই এই শিল্পনগরী গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।
“এই পরিকল্পনা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কোনো গাছ কাটা হবে না এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি রক্ষায় কাজ করা হবে।”
চট্টগ্রাম-০১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, “ভৌগোলিক দিক থেকে এই শিল্পনগরীর অবস্থান সুবিধাজনক; বহির্বিশ্ব চীনের বাইরে বিনিয়োগ করতে চাইলে যেন বাংলাদেশের কথা ভাবতে পারে, সেভাবেই আমাদের গড়ে তুলতে হবে এই শিল্পনগরটি।”
এই অঞ্চলের পর্যটন খাতেও যেন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে, তা নিশ্চিতেও পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “এখানে যারা মহিষ ও ভেড়া পালত, তাদের জায়গা বেজা অধিগ্রহণ করেছে। তাদের সুরক্ষিত করতে হবে। তাদের পরিবারকে প্রশিক্ষিত করতে হবে। মিরসরাইয়ের মানুষের জন্য কোটা রাখতে হবে।
“ভূগর্ভস্থ পানি শিল্প কারখানার জন্য ব্যবহার না করার অনুরোধ করছি। এটা মিরসরাইয়ের জনগণের হক। এখানে থাকা খালগুলো সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করতে হবে।”
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী শিল্পের বিস্তার ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অপরিকল্পিত শিল্পায়ন কমাবে; এই মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভিন্ন ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরী বাস্তবায়িত হলে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তবে একই সাথে এই মহাপরিকল্পনা যেন পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি না নিয়ে আসে, সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে।”
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিসহ জেলা প্রশাসন, বেজা ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।