Published : 30 Aug 2023, 07:55 PM
ডেঙ্গুর এসময়ে চাহিদা বাড়ায় ডিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি ও অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকায় ওষুধের দোকানকে প্রায় সোয়া এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জরিমানা করেন।
অপরদিকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম মশিউর রহমান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরিসহ বিভিন্ন অপরাধে চট্টগ্রামের বারকোড ফুড জংশন ও ফুলকলিক ফুড প্রোডাক্টকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রোপলিটন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মুরাদপুর এলাকায় বারকোড ফুড জংশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফ্রিজে পচা মাংস সংরক্ষণ, অনুমোদনহীন ঘি ব্যবহার এবং কাঁচা ও রান্না করা মাংস একসঙ্গে রাখার বিষয়টি ধরা পড়ে। এসময় তাদের চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে বাকলিয়া এলাকায় ফুলকলি ফুড প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদন এবং উৎপাদন-মেয়াদে কারচুপি লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘন ও নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের অভিযোগে পাঁচ লাখ জরিমানা করা হয়।
অপর অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জানান, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি ডিএনএস স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকায় বিভিন্ন ওষুধের দোকান।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে এ অভিযানে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারীকে ক্রেতা সাজিয়ে বিভিন্ন ওষুধের দোকানে স্যালাইন কিনতে পাঠানো হয়। কিন্তু দোকানিরা তাদের স্যালাইন নেই বলে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হওয়ার পর তারা পর্যাপ্ত স্যালাইন বের করে দেয়।
তিনি জানান, অনিবন্ধিত ওষুধ রাখার অপরাধে সাহান মেডিকো ও ইমন মেডিকেল হলকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ ও পপুলার মেডিসিন কর্নারকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এছাড়া একই স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অপরাধে ভান্ডারি হোটেল আল মঞ্জুর হোটেলকে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।