Published : 07 Jul 2023, 07:49 PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসিন খন্দকার ইমনকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একটি ল্যাপটপ উপহার দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর চশমা হিলের বাসভভনে ইমনের হাতে ল্যাপটপ তুল দেন চট্টগ্রাম-৯ আসনের এই সংসদ সদস্য।
ইমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি শারীরিকভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন।
ইমনের পরিবার নগরীর অক্সিজেন এলাকায় বসবাস করে। তারা ভোলার রতনপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে পরিবারটি ১৯৯০ সালে চট্টগ্রামে চলে আসে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইমনের মত শিক্ষার্থীরা দেশের সম্পদ। প্রয়োজন শুধু একটু মমতা, একটু ভালোবাসার। বাংলাদেশকে এমনই এক বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
“সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অনেক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু-কিশোর মূলধারায় ফিরে আসছে। এতে পিতামাতারা হতাশা কাটিয়ে পাচ্ছে উৎসাহ, সাহস আর আশ্রয়। বিশ্বে অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যেখানে এই শিশুদের মধ্য থেকেই পরবর্তীতে হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের শিশুরা সে পথেই হাঁটছে।”
নওফেল বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার ভিশন নিয়েছে, সেই ভিশন বাস্তবায়নে ইমন অংশ হবে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে।”
জানতে চাইলে ইয়াসিন খন্দকার ইমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি রাজশাহীতে মেসে থাকি। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। টিউশনির খোঁজ করে, দুয়েকটি পেলেও দূরে হওয়ার করতে পারছি না।
“বাবা রিকশা চালান। তিনিই আমার খরচ দেন। প্রতি মাসে তিনি কিছু টাকা আমাকে পাঠান। কিন্তু তারপরও ধার করতে হয়। এখন প্রায় ৮০-৯০ হাজার টাকা ধার হয়েছে। আমি কোডিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাই। আমার বাবা উপমন্ত্রী সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি আমাকে ল্যাপটপ দিয়েছেন।”
ইমন বলেন, “ল্যাপটপ কেনার মত অবস্থা আমার নেই। এখন আমি বড় ভাইদের সহায়তা নিয়ে কাজ শিখব। আশা করি ভালো কিছু করতে পারব। উনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কাজ শিখে কিছু আয় করতে পারলে, পরিবারের উপর আর চাপ পড়বে না।”
শিক্ষা উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী রাহুল দাশ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “ইমনের বাবা যোগাযোগ করলে, সেদিনেই উপমন্ত্রী মহোদয় উনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইমনকে উচ্চ কনফিগারেশনের একটি ল্যাপটপ দেবেন।
“আজ ল্যাপটপটি ইমনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও উপমন্ত্রী মহোদয় ইমনের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।”
শুক্রবার ল্যাপটপ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী ও ইমনের বাবা মো. হারুন।