Published : 27 Oct 2022, 09:53 PM
মুদ্রা সরবরাহ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো হার বাড়ানোর পর বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সেপ্টেম্বরে কিছুটা কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
আগের মাস অগাস্টের চেয়ে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে দশমিক ৭৭ শতাংশীয় পয়েন্ট। বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ অগাস্টে বেড়েছিল ১৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ প্রবাহের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি। এক মাস আগে যা ছিল ১৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।
বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ প্রবাহের ধারা বোঝার অন্যতম এ সূচক বলছে, এসময়ে আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির পরিমাণ কমলেও ঋণপ্রবাহ কমেনি। যে কারণে গত সেপ্টেম্বরে বেসরকারি পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ নেওয়ার প্রবণতাও খুব একটা কমেনি।
গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিল ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমলেও সেপ্টেম্বর শেষে সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ২৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ; যা আগের মাস অগাস্টে ছিল ২৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত অর্থবছর শেষে এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
সার্বিক হিসাবে সেপ্টেম্বর শেষে দেশে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা অগাস্টে ছিল ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হয়।
ঋণের হালনাগাদ সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর শেষে অভ্যন্তরীণ খাতে ঋণের মোট পরিমাণ হচ্ছে ১৭ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি। এক মাস আগে যা ছিল ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২২ কোটি টাকা। আর সরকারি খাতে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
বিনিয়োগ নিয়ে সতর্ক: জুলাই-অগাস্টে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ‘পিছুটান’
ঋণ সীমায় হাত না দিয়ে রেপোর কৌশল, মূল্যস্ফীতি বশে আসবে?