Published : 23 Jun 2025, 09:35 PM
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরজুড়ে ধীরগতি ও ব্যয় সাশ্রয়ী নীতির প্রভাব পড়েছে বিদেশি অর্থায়ন ছাড়ের ক্ষেত্রে। এতে চলতি অর্থবছরের শেষ সময় চলে এলেও বিদেশি ঋণের অর্থছাড়ে সুবাতাস মেলেনি; উল্টো আগের নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল মিলে পরিশোধ বেড়েছে ঢের।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মে সময় শেষে দেখা যায়, এ সময়ে বিদেশি অর্থছাড় কমেছে আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ। অপরদিকে সুদ ও আসল পরিশোধ বেড়েছে ২৩ শতাংশ।
সোমবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৫৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭০২ কোটি ০৫ লাখ ডলার।
বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনতে সরকার এরইমধ্যে প্রকল্প সংখ্যায় কাটছাঁট ও বরাদ্দ যাচাই বাছাই করে অর্থছাড় করতে শুরু করেছে। এতে অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় কমেছে। এ কারণে বিদেশি অর্থায়নও কমেছে বলে তুলে ধরেন ইআরডি কর্মকর্তারা।
এ সময়ে সরকারের বিদেশি ঋণের অর্থ কম পরিমাণে পেলেও পুরনো ঋণ পরিশোধ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় তা ৪৫ হাজার ৬৭৬ কোটি ০৮ লাখ টাকা।
পরিশোধিত অর্থের মধ্যে আসলের পরিমাণ ছিল ২৩৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার এবং সুদ ছিল ১৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার।
হালনাগাদ তথ্য বলছে, আগের অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩০৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার; যা স্থানীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৮৯৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
পাশাপাশি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিতেও ভাটা দেখা গেছে।
এ সময়ে প্রতিশ্রুতি মিলেছে ৫৪৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৯২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। অর্থ্যাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৩০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।