Published : 16 Sep 2022, 02:55 PM
‘বিউটি সার্কাস’ এর মুক্তির সাত দিন আগে প্রকাশ পেল চিরকুট ব্যান্ডের সংগীত আয়োজনে এ চলচ্চিত্রের প্রথম গান ‘বয়ে যাও নক্ষত্র’।
ব্যান্ডের ভোকাল শারমিন সুলতানা সুমির গাওয়া গানটি বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত হয়েছে ফেইসবুকে। গানটি লেখার পাশাপাশি সুরও করেছেন সুমি। সংগীত পরিচালনা করেছেন পাভেল আরিন।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘বিউটি সার্কাস’। মাহমুদ দিদার পরিচালিত সরকারি অনুদানের এই চলচ্চিত্রে জয়া আহসান সেজেছেন সার্কাসকন্যা ‘বিউটি’ রূপে।
এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর সুমির জন্মদিনও; রাত ১২টায় জন্মদিন উদযাপনের আগ মুহূর্তে চিরকুট ব্যান্ডের এই গানটি প্রকাশ করেছে 'বিউটি সার্কাস' টিম।
বিউটি সার্কাসের ‘বয়ে যাও নক্ষত্র’ গানের দৃশ্যে দেখা যায় অভিনেত্রী জয়া আহসান ও এ বি এম সুমনকে। গানের কিছু অংশে অভিনেতা ফেরদৌসকেও দেখা যাবে।
গ্লিটজকে সুমি বলেন, “সিনেমার গানে আমাদের একটা 'সাকসেস রেট' আছে। এখন পর্যন্ত সিনেমার জন্য যতগুলো গান করেছি, তার বেশিরভাগই দর্শক-স্রোতাদের ভালো লেগেছে। এই গানটিও সবার ভালো লাগবে বলে প্রত্যাশা করছি। গানটি প্রকাশ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া পেয়েছি।"
জন্মদিন কেমন কাটছে জানতে চাইলে চিরকুট ব্যান্ডের এই শিল্পী বলেন, "এই বয়সে জন্মদিন আর কি? তবুও সবার ভালোবাসা পাই। এটা খুব ভালো লাগে। রাতে আমাদের স্টুডিওতে কেক কেটেছি। 'বয়ে যাও নক্ষত্র' গানের মত জন্মদিনও আমার বয়ে বয়ে যাচ্ছে।“
নিজের অফিস ও চিরকুটকে নিজের পরিবার হিসেবে বর্ণনা করে এই শিল্পী বলেন, “অফিস আর ব্যান্ডের সহকর্মীরা জন্মদিন উপলক্ষে 'জাদুর শহর' গানটারে প্যারোডি করে একটা ভিডিও বানিয়েছে। খুবই ভালো লাগছে। আমি সব সময় একটা পরিবার বানাইতে চাইছি। অফিস আর ব্যান্ড আমার পরিবার।"
এ সিনেমায় ব্যবহৃত বাকি দুটি গান গেয়েছেন অ্যাশেজ ব্যান্ডের ইভান ও টুনটুন বাউল।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘বিউটি সার্কাসে’ আরও অভিনয় করেছেন তৌকির আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত ও হুমায়ূন সাধুসহ অনেকে।
ট্রেইলারে সার্কাস, জাদু আর জয়া আহসান
জয়া আহসানের বিউটি সার্কাস আসছে ২৩ সেপ্টেম্বর
সম্প্রতি সিনেমার ট্রেলার মু্ক্তি পেয়েছে। সেখানে সার্কাসকন্যা বিউটি চরিত্রে নজর কেড়েছেন জয়া আহসান।
২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে দুইশ জনের নির্মাণসঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে চিত্রধারণের কাজ শুরু করেন নির্মাতা। এর জন্য বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্যমেলার আয়োজন করা হয়।
চলচ্চিত্রটির ব্যাপ্তি ও নির্মাণের বৃহৎ আয়োজনের কারণে কাজ শেষ করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগে। এরপর করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পিছিয়ে যায় মুক্তি।