Published : 08 Feb 2025, 06:32 PM
রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার রিপোর্টে স্বাক্ষরের অধিকার চেয়েছেন ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টরা। সেজন্য প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বায়োকেমিস্টদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োকেমিস্টস-বিএসিবি।
শনিবার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বিএসিবির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফাতেমা খান মজলিস।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের ৯.৪ ধারায় বলা হয়েছে, সকল ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি রিপোর্টে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) রেজিস্টার্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
“ল্যাবরেটরির সব বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে শুধুমাত্র চিকিৎসকরা স্বাক্ষর করতে পারবেন- এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক, অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ল্যাবরেটরি টেস্টের মানের অবনতি হবে। এজন্য অধ্যাদেশের এই ধারাটি সংশোধন করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয, সারা বিশ্বে চিকিৎসক ও বায়োকেমিস্টরা পাশাপাশি কাজ করে আসছেন। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় বায়োকেমিস্টরা রোগ নির্ণয়ের জন্য স্বীকৃত। মেডিকেল টেস্টের রিপোর্টে তাদের স্বাক্ষর দেওয়ার ক্ষমতা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন বায়োকেমিস্টরা।
• স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন হতে বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক ৯.৪ ধারা বাদ দেওয়া।
• যুগোপযোগী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বায়োকেমিস্টদের কর্মপরিধি ও পেশাগত সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা।
• পর্যায়ক্রমে সকল ল্যাবরেটরিকে অ্যাক্রিডিটেশনের আওতায় আনা।
• সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং সব জেলা সদর হাসপাতালে শিক্ষক ও বায়োকেমিস্ট বা ল্যাবরেটরি সায়েন্টিস্ট হিসেবে নিয়োগ পুনরায় চালু করা।
• বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে বায়োকেমিস্ট ও ল্যাবরেটরি সায়েন্টিস্ট পদ সৃষ্টি করা
• স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণী যে কোনো পর্যায়ে গঠিত কমিটিতে বিএসিবির ন্যূনতম একজন প্রতিনিধি রাখা।
• সুনির্দিষ্ট জনবল কাঠামোর মাধ্যমে বিভিন্ন পদের পদোন্নতির পথ খোলা রাখা।
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হোসাইন উদ্দিন শেখর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সোহেল আহমেদ, বিএসিবির আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান, সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক ও ড. আব্দুল মোত্তালিব সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।