Published : 04 Jul 2012, 03:29 PM
সেনা অভূত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদের একটি ষড়যন্ত্র নসাৎ করা কথা সেনাবাহিনী দেশবাসীকে জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, এই সরকার উচ্ছেদের চেষ্টায় জড়িত সেনা কর্মকর্তারা ধর্মান্ধ ব্যক্তি। এই ষড়যন্ত্রে নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হিজবুত তাহরিরও জড়িত জানানো হয়েছে। এই সংবাদ যখন জনগণ জানতে পারে তখন টঙ্গীতে শেষ হয়েছে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।
মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকার কারণে জামায়াতে ইসলামী এদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত। ধর্মভিত্তিক অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনের রাজনীতিতে কখনোই জনপ্রিয় দল হিসেব নিজেদের প্রমাণ দিতে পারেনি। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি সেভাবে আসন নিতে না পারলেও এদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুরাগ যে তীব্র তা বিশ্ব ইজতেমার সময় অনুভব করা যায়। এতো ভক্ত তবু কখনোই এদেশে কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে যুক্ত হওয়ার খবর প্রকাশ হয়নি। তবে এদের এই ভাল মানুষী চেহারা ও ঘোষিত পন্থার আড়ালে থেকে স্বার্থ হাসিল করার অভিযোগ রয়েছে এদেশে এবং বিদেশে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবার ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী বলে অভিযোগ এনেছেন তাদের অন্যতম মেজর জিয়াউল আগে তাবলীগে যুক্ত ছিলেন বলে সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে।
সহনশীলতা ও ধৈর্যের সঙ্গে তাবলীগ জামাত প্রচার কাজ চালিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশই বিচরণ করছে। সাংগঠনিকভাবে স্বীকৃত কোনো প্রকাশনা না থাকায় অন্যদের প্রবন্ধ ছাড়া তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ কম। খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়া এ আন্দোলনের সংগঠন, মতাদর্শ, সদস্য, অর্থায়ন ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোলাখুলি জানাতে অনিচ্ছুক এরা। এই নীরবতা বা গোপনীয়তা বিশ্ব জুড়েই নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পশ্চিমা জগতের কেউ যেমন সমালোচনা করেছেন তেমনই রাজনৈতিক ইসলাম পসন্দরাও সমালোনায় কোনো ছাড় দেয়নি। তবে বিশ্বজুড়ে তাদের সমর্থকের অভাব হয়নি।
শুধু ইসলাম নয়, সকল ধর্মের মিশনারি সংগঠনগুলোর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন এখন তাবলীগ জামাত। ইউরোপে ৭০ হাজার নামাজির ধারণ ক্ষমতার মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ায় আলোচনায় উঠে আসে এরা। তবে নানা কারণে অবশেষে মসজিদটিকে ১২ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়।
দেওবন্দে দিক্ষা নেয়া মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস ১৯২৭ সালে অবিভক্ত ভারতে প্রতিষ্ঠা করেন তাবলীগ জামাত। তারা সুন্নি মতানুসারী দাবি করেন। শিয়া বা অন্য কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায় তাদের কাছে একদমই অগ্রহণযোগ্য। ১৯৪১ সালে দিল্লির কাছের এক স্থানে তাদের প্রথম ইজতেমা বা বার্ষিক সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াসের বংশের বা বৈবাহিক আত্মীয়রাই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে আজও। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাদের প্রধান দপ্তর। দেশে দেশেও রয়েছে জাতীয় দপ্তর।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কারবাদী আন্দোলনের প্রতিক্রিয়ায় ইলিয়াস তাবলীগ আন্দোলন শুরু করেন বলে অনেকের দাবি। সূচনালগ্নে অমুসলমান বংশধারা থেকে ইসলামের পতাকা তলে আগতদের জীবনযাত্রা ইসলামিকরণই ছিল এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। যাত্রা শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চল হয়ে দাঁড়ায় তাদের কাজের প্রধান ক্ষেত্র। এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় তাবলীগি বার্ষিক সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমা ঢাকার টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ভারতের ভুপাল, পাকিস্তানের লাহোরসহ বিভিন্ন দেশে তাবলীগের বার্ষিক জমায়েত হয়ে আসছে। অংশগ্রহণের সংখ্যার বিবেচনায় ঢাকার পরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের সন্নিকটে অনুষ্ঠিত ইজতেমার অবস্থান। সম্প্রতি ঢাকা ও লাহোরের ইজতেমাকে দু পর্বে ভাগ করে পালন করা হচ্ছে।
এর নেতারা ক্যারিসমেটিক কোনো চরিত্র ধারণ করেননি। প্রথম থেকেই নিভৃতচারী থাকতেই সাচ্ছন্দ বোধ করেন। শুধু তাই নয়, জনগণকে সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতেও তারা ঘোর অনিচ্ছুক। তাই সমালোচকদের জবাবে তাদের সাংগঠনিক কোনো প্রতিক্রিয়া খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। লক্ষণীয় বিষয়, তাদের সম্পর্কে সমালোচনাগুলো পরস্পর বিরোধী। একপক্ষের অভিযোগ, জঙ্গী তৈরির স্প্রিং বোর্ড হিসেবে কাজ করছে তারা, অপর পক্ষ এদের অবিহিত করছে 'ইসলামের শত্রু' বলেও।
'তাবলীগ গ্রহণ ছাড়া সম্মান-সুখ-শান্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই' তাবলীগের এই বক্তব্য ধরে দারুল উলুম আজিজিয়া অ্যাকামেডির অভিযোগ, বক্তব্যটি প্রমাণ করে মুসলমানদের মধ্যে একটি সতন্ত্র সম্প্রদায় হতে চায় তাবলীগিরা। এদের প্রধান কর্মসূচি ছাড়া কোনো বিষয়ে সদস্যদের বিতর্কে জড়াতে নিষেধ করার প্রসঙ্গ টেনে এরা বলছেন, তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের সঙ্গে তাবলীগের সংঘাত না হওয়ার এটিই হেতু। একই কারণে ইসরাইলের মতো ইহুদিবাদী দেশেও তাবলীগের প্রচারে কোনো বাধা নেই। তাবলীগের অনেক কর্মকাণ্ডকে ইসলামি দৃষ্টিতে 'মাকরুহ' বলতেও দ্বিধাবোধ করেনি এই আকাডেমি।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা গ্রাহাম ফুলারসহ পশ্চিমা জগতের অনেকেই এক সময় তাবলীগকে একটি অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বললেও বিপরীত প্রতিবেদনও আছে। আল কায়দার সদস্য সংগ্রহে তাবলীগ জামাতকে কাজে লাগানোর শক্ত অভিযোগও করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সংগঠন মিডল ইস্ট ফোরামের দাবি, জঙ্গী সংগঠন 'হরকাতুল মুজাহিদিন' এর সব সদস্যই তাবলীগ থেকে আসা। আফগানিস্তানে সোভিয়েত হামলার পর তাবলীগ থেকেই সৃষ্টি হয় 'হরকাতুল জিহাদ-ই ইসলামি'। তাবলীগের সমালোচনায় বলা হয়েছে, বোমা হামলার জন্য মরোক্কো এদের সদস্য ইউসুফ ফিকরিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। দেশ ভ্রমণে ভিসাপ্রাপ্তীসহ বিভিন্ন ভাবে তাবলীগ জঙ্গীদের সহায়তা করে, ১৯৯৯ সালে চারশো উজবেককে জঙ্গী প্রশিক্ষণে পাঠায়, ফিলিপাইন সরকার তাবলীগকে জঙ্গীবাদে সহায়তার জন্য অভিযুক্ত করেছে, অনেক জঙ্গী সংগঠন ঘোষণা দিয়েই তাবলীগে একযোগে কাজ করছে। জঙ্গী সংগঠনের সদস্য সংগ্রহে তাবলীগ জামাতের প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রমানও আছে দাবি করছেন তারা।
এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তানে বেনজির ভুট্টো সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রে তাবলীগ জামাত জড়িত। ১৯৯৫ সালে সেদেশে যেসব সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ক্যূতে যুক্ত সবাই তাবলীগের লোক। লাহোরের একটি পত্রিকার সূত্র দিয়ে বলা হয়েছে তাদের অনেকে মার্কিন তালিকাভূক্ত জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল মুজাহিদিনের সদস্য। এমন অসংখ্য অভিযোগে তাবলীগের প্রত্যক্ষ ভাষ্য পাওয়া না গেলেও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল কারো কারো প্রতিবাদ পাওয়া যায়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তাবলীগকে সন্দেহের তালিকায় নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় তাবলীগ জামাতে অনুরক্ত ইয়োগিন্দার সিকান্দ নামে এক ইসলামি গবেষক বলেছেন, এই সংগঠনের সে অর্থে কোনো স্থায়ী সদস্য নেই। সংগঠনও ঢিলেঢালাভাবে গঠিত। জঙ্গীবাদ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত কেউ তাবলীগ জামাতের সদস্য হতে পারে, তবে তা মোটেও এই আন্দোলনের নেতাদের সমর্থিত নয়। তবে তাবলীগের পিরামিড প্রকৃতির বিভিন্ন স্তরবিশিষ্ট সাংগঠনিক কাঠানো রয়েছে; সংগঠনে আছে সুরা ও আমির।
ষাট দশকে আইয়ুব খানের আমলে তাবলীগ জামাতের অন্যতম তাত্ত্বিক মাওলানা জাকারিয়া তার 'ফিতনা-ই-মুদুদিয়াত' এ দেখান, কেন জামায়াতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদি একজন বিচূত্য ব্যক্তিত্ব এবং তার আদর্শ কেন ইসলামি নয়। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য রাজনৈতিক ইসলাম চর্চা তাবলীগের পন্থা নয়, তাদের লক্ষ্য ব্যক্তির আত্ম-সচেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে জিহাদ।
আবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফ জাভেদ নাসিরকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর মহাপরিচালক করেন। আইএসআই-এর ভূমিকা সবারই জ্ঞাত। আধ্যাত্বিকতায় ব্যক্তির মুক্তির জন্য যারা কাজ করেন, তাদের এমন একটি সংস্থায় কাজই বা কী? মুহম্মদ রফিক তারারকে রাষ্ট্রপতি করাসহ অনেক তাবলীগিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন নেওয়াজ।
সংগঠনের অর্থায়ন সম্পর্কেও কোথাও তারা সুস্পষ্ট কিছু বলেন না। তাদের দাবি, তাবলীগে স্ব-অর্থসংস্থানে অংশ নেন সবাই। তবে মিডল ইস্ট ফোরামের লেখক অ্যালেক্সের দাবি, তাবলীগের কিছু বিষয়ে সৌদি ওহাবীদের আপত্তি থাকলেও শেইখ আবদ আল আজিজের সমর্থন পাওয়ায় সত্তর দশক থেকেই সৌদিরা তাদের অর্থকড়ি যোগান দিচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে সৌদি অর্থায়নেই এদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। তবে, সৌদি সমর্থন নাকচ করে গবেষক সিকান্দ বলছেন, শেইখ আজিজ তার সর্বশেষ ফতোয়ায় তাবলীগ সুন্নি অনুসারী নয় বলে ফতোয়া দিয়েছেন।
তাবলীগের আড়ালে জঙ্গী তৎপরতারকে 'নেকড়ের ভেড়ার ছাল গায়ে দেয়ার' সঙ্গে তুলনা করেছেন মার্কিন লেখক অ্যালেক্স। জঙ্গী প্রসঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশে নানা ধরণের অপরাধীর আত্মগোপনে তাবলীগকে ব্যবহার করার নজির আছে। এইসব অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক তাবলীগ হোক আর নাই হোক, তাদের আড়ালে লুকিয়ে থেকে কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালালে সে দায় তারা পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারেন না। কোনো কর্মীর দায় যেমন শেষ পর্যন্ত সরকারি বা বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বহন করতে হয়, তেমনই তারাও দায় মুক্ত নন।
বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিটি সরকার যেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে তাতে এটি প্রকৃতপক্ষে সরকারী অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাবলীগের বিরুদ্ধে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগকারীরাও শেষ পর্যন্ত এদের নিরীহ চরিত্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের ইজতেমায় অংশ গ্রহণকেই বড় কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। অথচ এই সংগঠনটির অর্থায়ন, সদস্য, কর্মকাণ্ডের খতিয়ান সরকারকে তারা দেয় কিনা সন্দেহ। এদের সুরার সিদ্ধান্তও লেখা হয় না শোনা যায়। কিন্তু যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়, সব সংগঠনই তাদের আর্থিক বিবরণী প্রকাশে বাধ্য সেখানে তাবলীগ জামাত কী নিয়মের উর্ধ্বে থাকতে পারে? রাষ্ট্রের কাছে কোথাও অস্পষ্টতা থাকা মানেই সেখানে রাষ্ট্রের ব্যর্থতা।
বিভিন্ন দেশে ওঠা অভিযোগগুলো নিরসনে তাবলীগ জামাতকেই উদ্যোগী হতে হবে। তাদের লেবাস গায়ে কোনো মতলববাজ যেন স্বার্থ হাসিল করতে না পারে সেটির নজরদারি করা তাদেরই প্রাথমিক দায়িত্ব। সেলক্ষ্যে সংগঠনের অর্থায়ন, সদস্য, কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রকাশ করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পরে। না করলেই বরং প্রশ্ন ঘনিভূত হয়।
বিশ্ব ইজতেমার মাধ্যমে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি বিশিষ্ট পরিচিতি দিয়েছে। লাহোর এবং টঙ্গী দু'স্থানেই শিল্প নগরী গড়ে ওঠায় দু'টি স্থানই এখন নগরের পেটের মধ্যে। ফলে চাইলেও ইজতেমার স্থান বাড়ানো যাবে না। টঙ্গীতে ইজতেমা শুরু হওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জসহ অন্য স্থানে ইজতেমা হওয়ার নজির আছে। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বাস আল্লার দরবারে এক সঙ্গে লাখো মানুষের ওঠা হাতের একটিও যদি কবুল হয় তবে তাদের সবার মুক্তি। শুধুমাত্র ব্যবস্থাপনার সংকটের কারণে আজ দ্বিখন্ডিত সেই লাখো হাত। ইজতেমা অখণ্ড হলে বিশ্বাসীর আশায় শক্তি বাড়ে।
তাই তাবলীগ জামাত বেছে নিতে পারে বিস্তীর্ণ কোনো খোলা জায়গা, হতে পারে তা সমুদ্র সৈকত। নিভৃতচারী তাবলীগিদের সাধনা বরং আধুনিক শহর, বিশেষত রাজধানীর জৌলুস থেকে দূরে হওয়াই উত্তম। আধুনিক জীবনবিমুখতাই তো তাবলীগের মূলমন্ত্র ও শক্তি।