Published : 07 Mar 2022, 06:54 PM
'… পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত
ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক
এই বাংলায়
তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা'।।
কবি শামসুর রাহমানের সকল আকুতি মিটিয়ে দিয়ে এই বাংলায় স্বাধীনতা এসেছিল এক সাগর রক্তের বিনিময়ে। পঞ্চাশ বছর আগে স্বাধীনতা এসেছিল 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' এর পথ ধরে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা জানার চেষ্টা করি কতটা সুবর্ণ হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আকবর আলি খান প্রাপ্তির মূল্যায়ন করে বলেছেন, "১৯৭১ সালে আমরা যে বাংলাদেশ দেখেছি, তার সঙ্গে তুলনা করলে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এত অগ্রগতি হবে, আমি চিন্তাও করতে পারিনি।" কল্পনার সীমানা পেড়িয়ে আমরা দেখি বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে গত ৩ রা অক্টোবরে মূল্যায়ন করেছে, Bangladesh tells the world a remarkable story of poverty reduction and development – এই গৌরবজ্জল তকমায়। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যৈষ্ঠ ফেলো প্রফেসর অরবিন্দ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য ঘেঁটে দেখিয়েছেন ১৯৮৭ সালে যে বাংলাদেশের মাথা-পিছু আয় ছিল পাকিস্তানের অর্ধেক, আর ২০০৭ সালে ছিল ভারতের দুই-তৃতীয়াংশ, সেই বাংলাদেশ ২০২০ ছাড়িয়ে গেছে ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশকে। বিস্মিত হয়ে তিনি নিবন্ধ লিখেছেন- 'The Paradoxes of the Bangladesh Miracle' শিরোনামে বিশ্ব বিখ্যাত প্রজেক্ট সিন্ডিকেট পত্রিকায়।
মুশকিল হলো প্রফেসর অরবিন্দ সুব্রামানিয়ান আসল কথাই বলতে ভুলে গেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন কোন অলৌকিক ঘটনা নয়। কোন জাদুবলেও আসেনি এই উন্নয়ন। এসেছে 'সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই' অনুভূতি থেকে উঠে আসা সোনার মানুষের হাত ধরে। বাংলাদেশের দিন-বদল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে। তিনিই বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন 'রূপকল্প ২০২১' এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রথম 'প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২০২১'। গত দশকে দেশে বাস্তবায়িত হয়েছে ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে খাদ্যে স্বয়ং-সম্পূর্ণতা অর্জন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ, পপঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ এসবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও অবিচল নীতি-নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নয়ন কৌশল 'রূপকল্প-২০২১' বাস্তবায়নের ফলে।
রূপকল্প ২০২১-এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রণীত হয়েছে রূপকল্প-২০৪১। জাতীয় অর্থনীতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুমোদিত হয়েছে 'রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ণ: বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১'। রূপকল্প-২০৪১ এর ভিত্তিমূলে রয়েছে দুটি প্রধান অভীষ্ট- '১) ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে আজকের মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২,৫০০ মার্কিন ডলারেরও বেশি এবং যা হবে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ, ২) বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য হবে সূদুর অতীতের ঘটনা'।
২০৪১ সালের বাংলাদেশে সম্ভাব্য জনসংখ্যা হবে একুশ কোটি তিন লাখ জন। চরম দারিদ্র্য লোক, যাদের দৈনিক আয় থাকবে ২ দশমিক ১৬ ডলারের কম এমন লোকের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে শতকরা ০.৬৮ ভাগে। আর দারিদ্র্য লোক, যাদের দৈনিক আয় থাকবে ৩ দশমিক ২০ ডলার, এমন লোকের সংখ্যা হবে ২ দুই দশমিক ৫৯ শতাংশ। 'রূপকল্প-২০৪১' এর 'উদ্দীপনাময় সূচনা' হিসেবে ধারণ করা হয়েছে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন 'দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মুক্ত, দুর্নীতি ও শোষণহীন সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ গড়ে তোলা'কে।
উন্নত দেশ মানে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, উন্নত দেশ মানে নাগরিকের প্রকৃত মানবিক উন্নয়ন। এ প্রসঙ্গে নোবেল জয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যেমন বলেছেন, "কোন দেশের মানবিক অগ্রগতি না হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।"
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আওতায় ২০১৬ সালের দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে ২০১৯ সালে হয়েছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, চরম দারিদ্র্যের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। তথাপি, প্রায় সতের কোটি লোকের দেশে এখনো এক-পঞ্চমাংশের বাস দারিদ্র্য সীমার নিচে, প্রায় এক কোটি সত্তর লাখ বাস করেন চরম দারিদ্রসীমার নিচে। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র সীমার নিচে রেখে উন্নত দেশের মানদণ্ড অর্জন প্রায় অসম্ভব, অর্থহীনও বটে। চরম দারিদ্রসীমার নিচে বাস করা প্রায় পৌনে দুই কোটি লোকের জীবন-মানের পরিবর্তন ঘটানোর অভিপ্রায়ে আশ্রায়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল'। জনগণের একটি বৃহৎ অংশকে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের সাথে সংযুক্ত করে তাদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানোই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের একমাত্র উদ্দেশ্য। নিরাপদ আশ্রয়ণের নির্ভরতা দিয়ে কর্মসংস্থানে হত-দরিদ্র জন-অংশের অভিগম্যতা বৃদ্ধি করে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই ও মানবিক করার উত্তম চর্চা হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের অন্যতম 'আশ্রয়ণ প্রকল্প'।
বাংলাদেশে আশ্রয়ণ কার্যক্রমের শুরু হয়েছিল জাতির পিতার হাত ধরে। ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি পরিদর্শন করেন বর্তমানের লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চড়পোড়াগাছা গ্রাম। সেখানকার ভূমিহীন, গৃহহীন ও অসহায় মানুষকে পুনর্বাসনের নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ১৯ মে তারিখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শনে যান ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত কক্সবাজার জেলা। গৃহহীন মানুষের দুর্দশা দেখে কাতর হয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক হৃদয়। তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন পরিবারসমূহকে পুনর্বাসনের। সেই থেকে শুরু 'আশ্রয়ণ প্রকল্পে'র পথ চলা। প্রথম পর্যায়ে দুই মেয়াদে ডিসেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ১,০৫,৯১৩টি পরিবার ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় গৃহীত হয়েছে আশ্রায়ন-২ প্রকল্প। ১৬ মার্চ ২০২০ এ প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৬টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ হাজার ৩২৫টি ভূমিহীন পরিবার ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়েছে, ভিক্ষুক পুনর্বাসনসহ 'নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ কর্মসূচির' আওতায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৭টি পরিবারকে তাদের নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের জন্য ২৩৪টি টং ঘর ও বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
'মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না'- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন আহ্বানে সাড়া দিয়ে 'গৃহহীনে গৃহদান' কর্মসূচী রূপ নিয়েছে একটি সামাজিক আন্দোলনে। জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মযজ্ঞ সমন্বয় করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিত্তশালীদের স্বেচ্ছা অনুদান, সরকারের সচিবদের অর্থায়নে নিজ জমিতে ঘর নির্মাণ, কর্পোরেট অনুদান গ্রহণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ তহবিল গঠন ইত্যাদি বহুমাত্রিকতার দরুণ মুজিববর্ষের এই বিশেষ উদ্যোগ ছুঁয়েছে অনন্য উচ্চতা। অসহায়, দরিদ্র, ভিক্ষুক, বিধবা স্বামী পরিত্যক্তা, গৃহহীন ছিন্নমূল যাদের ঘর জমি কিছুই নাই তাঁদেরকে দেয়া হয় সর্বোচ্চ প্রাধিকার, ক- শ্রেণি। পরিবার প্রতি দেয়া হয় দুই শতক খাস জমি আর টয়লেট, রান্নাঘর, বারান্দাসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট ৩৯৪ বর্গফুটের একটি সেমিপাকা ঘর। বর্তমান ধাপে নির্মাণাধীন প্রতিটি ঘরের ভিত্তি ব্যয় ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। দেয়া হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে ভূমির মালিকানা স্বত্বের দলিল/কবুলিয়ত ও নামজারী, বিদ্যুৎ সংযোগ ও নলকূপ।
স্থানভেদে ২ শতক জমির দাম ৩০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা, পরিবার প্রতি নলকূপ বাবদ ৭ হাজার টাকা, নামজারী ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ আছে ১,৭০০ টাকা, বিদ্যুৎ সংযোগ ও ওয়ারিং বাবদ ৭ হাজার টাকা, সব মিলিয়ে পরিবার প্রতি অনুদান প্রায় ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ টাকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর 'গৃহহীনে গৃহদান' কর্মসূচির মাধ্যমে যার কিছুই ছিলনা তাকে করেছেন লাখপতি। ছিন্নমূলকে ক্ষমতায়ন করে বসিয়েছেন সম্মানের আসনে। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬৯ হাজার ৯০৪টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন, ২০২১ তারিখে আরো ৫৩ হাজারের অধিক পরিবারকে জমির স্বত্বসহ গৃহ প্রদান করা হয়। বর্তমানে আরো দুই লাখ গৃহ নির্মাণের কাজ চলমান আছে। জমি ও বাড়ি দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বিশ্বে প্রথম। ব্রাজিল, কলম্বিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বেশ কয়েকটি দেশে জমি কেনার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হয়, ঘরসহ জমির মালিকানা বাংলাদেশেই প্রথম।
নাগরিকের আত্মনির্ভরশীলতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে 'প্রকৃত মানবিক উন্নয়নের' জন্য প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে বিদ্যালয়, খেলার মাঠ, মসজিদ-মন্দির, করবস্থান, কমিউনিটি সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, নলকূপ। গ্রোথ-সেন্টারের পাশে নির্মিত প্রকল্পে আছে পুকুর, হাস-মুরগি, পশু পালনের ব্যবস্থা। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ, সহজ কিস্তির ঋণ ও সামাজিক নিরাপত্তার বেষ্টনীর আওতায় অনুদান। 'শেখ হাসিনা মডেল' এর মূল বৈশিষ্ট্য চারটি; ১) উপার্জন ক্ষমতা ও সঞ্চয় বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, ২) সম্মানজনক জীবিকা ও সামাজিক মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নারীদের ঘরের অর্ধেক মালিকানা দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন, ৩) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়িয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, এবং ৪) ব্যাপক হারে বনায়ন ও বৃক্ষ রোপন করে পরিবেশের উন্নতি সাধনের পাশাপাশি গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। গতানুগতিক 'সাহায্য নির্ভর উন্নয়ন মডেল' এর যেখানে 'নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা' সেখানে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল' এসেছে আশার বাতিঘর হয়ে। 'কাউকে পেছনে ফেলে নয়' নীতি বাস্তবায়নের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিগম্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর, অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। দারিদ্র্যের অর্থনৈতিক, সামাজিক, ও মনস্ত্বাত্বিক সমস্যা সমাধানে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল' নীরবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তরে।
উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে পর্বতসম সমস্যা থাকলেও তা অলঙ্ঘনীয় নয়। চরম দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা ভূমিহীন, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, বেদে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এরূপ প্রায় পৌনে দুই কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সংযুক্ত করাই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সঠিক পরিকল্পনা ও সকলের নিবেদিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে উন্নয়নের চরম শিখরে। রূপকল্প-২০৪১ অর্জনের পথে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল' থাকবে এক অনন্য মানবিক সংযোজন হয়ে।