Published : 22 Jun 2025, 03:52 PM
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাত হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পরে আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত, উনি এসেছিলেন উনার টিম নিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্কের বিষয়গুলো আছে, বিশেষ করে ট্যারিফ নিয়ে… একটা বড় ট্যারিফ আমেরিকানরা বাংলাদেশের ওপর দিয়েছে, সেটার ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এই ট্যারিফ বাংলাদেশ কীভাবে হ্যান্ডেল করবে…।
“আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে ট্যারিফের ব্যাপারে। আমরা এই ব্যাপারে সরকারের সাথে সহযোগিতা করে একটা সমাধান করা দরকার বলে মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ট্যারিফ যদি বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের গার্মেন্টেস পণ্যের রপ্তানি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
“বিএনপি এ বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ করবে এবং সহযোগিতা করবে, যাতে ট্যারিফের বিষয়টার সুষ্ঠু সমাধান হয়।”
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে কীভাবে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে আমীর খসরু জানান।
তিনি বলেন, আলোচনায় নির্বাচন প্রসঙ্গও এসেছে।
“নির্বাচনের বিষয় এবং বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি।
“লন্ডনে তারেক রহমান সাহেবের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকটার প্রশংসা করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারছে এবং ওই মিটিংয়ের ফলে যে একটা দেশের মধ্যে বড় ধরনের স্বস্তি এসেছে এবং নির্বাচনমুখী হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের অনুষ্ঠানে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে এই বিএনপি নেতা বলেন, “ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি, সেটার একটা মোটামুটি দিনক্ষণ এসেছে, সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে; শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে।
“কারণ তাদের ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা কী হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে যায়।”