Published : 05 Jul 2023, 03:30 PM
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের ‘সাফল্য ও অর্জন’ জনগণের সামনে তুলে ধরতে মাসব্যাপী গণসংযোগ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। অগাস্ট মাসে শোক দিবসের কর্মসূচিও এ বৈঠকে ঠিক করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা জানান, অগাস্ট মাসব্যাপী সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে গণসংযোগ চালানো হবে।
শোকের মাসে সংগঠনের কর্মকাণ্ড শোক দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করতে একটি ‘রোডম্যাপ’ ঠিক করার কথা জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকের বৈঠকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে অগাস্ট শোকের মাস, এই মাসের কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। শোকের মাসে আমরা নানা কর্মসূচির মধ্যে থাকব।”
মাসব্যাপী গণসংযোগের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “শোকের মাস পার হলেই আমরা সারা দেশে গণসংযোগ করব। এটা মাসব্যাপী হবে।”
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, “সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগে সরকারের এতদিনের সাফল্য ও অর্জন জনগণের সামনে তুলে ধরতে এই গণসংযোগে চালানো হবে।”
এ ছাড়া তিন সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা কমিটি দ্রুত দিতে সভায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
এস এম কামাল হোসেন বলেন, “ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ নেতাদেরকে অতিদ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে আমাদের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন। আর ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি অতি দ্রুত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”
এদিকে সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির বক্তব্য দেওয়া শেষ হলে সভাপতি সমির চন্দ বক্তব্য শুরু করেন। সমির চন্দ বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রত্যেক কথাতেই আপত্তি জানাতে থাকেন সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি। এক পর্যায়ে দুজনের কথা কাটাকাটি চরম পর্যায়ে চলে যায়।”
এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা দুজনকেই থামতে বলেন। তবে দুজন নিজেদের সংগঠন পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য দুজনকেই দায়ী করে যাচ্ছিলেন।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আর বৈঠকের ঘন্টাখানেক পরে সাধারণ সম্পাদক স্মৃতিকে ফোন করলে তিনি তা ধরেন, কিন্তু কোনো কথা বলেননি। এ সময় প্রায় মিনিট খানেক সমীর চন্দ ও স্মৃতির কথাকাটাকাটি শোনা যায়।