Published : 22 Jul 2023, 12:36 PM
বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা।
গত মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশের বড় ৫টি বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার পর শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি টানছে বিএনপির তিন যুব সংগঠন।
‘তারুণ্যের সমাবেশ’ বেলা ২টায় শুরুর কথা থাকলেও নেতা-কর্মীরা সোহারাওয়ার্দী উদ্যানের আসতে শুরু করেন সকাল থেকে। তাদের হাতে ব্যানার-ফেস্টুন, মাথায় লাল-সবুজ-হলুদ ক্যাপ আর মুখে সরকারবিরোধী স্লোগান।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, মঞ্চ তৈরি, মাইক লাগানো এবং মঞ্চের সামনে নেতা-কর্মীদের জন্য চেয়ার ও মাদুর বিছানোসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয়েছে। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘তারুণ্যের সমাবেশ’ এর সভাপতি এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাবেশের সব কাজ শেষ হয়েছে। সকাল থেকে আমাদের নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছে মাঠে। সমাবেশে স্মরণকালের তরুণ সমাগম ঘটবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। এই সমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।”
সমাবেশ সুশৃঙ্খল রাখার জন্য তিন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি ‘স্বেচ্ছাসেবক দল’ মাঠে কাজ করছে বলেও জানান যুবদল নেতা টুকু।
সমাবেশ ঘিরে পুরো এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাহবাগ, মৎস্যভবন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
শুক্রবার টুকু জানিয়েছিলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফ থেকে ওই সমাবেশের জন্য তারা ‘মৌখিক অনুমতি’ তারা পেয়েছেন।
ঢাকায় বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শনিবার, মিলেছে ‘মৌখিক অনুমতি’
সমাবেশে অংশ নিতে সকাল সকাল ঢাকায় পৌঁছাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে ভোরে বাসে রওনা দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আসফাকুর রহমান। তিনি বলেন, “ভোরে বাসে করে চলে এসেছি আমরা চারজন। কারণ আমাদের কাছে খবর ছিলো সকাল আটটার পরে পুলিশ ব্যারিকেড দেবে।
‘‘এখন বাজে ১১টায়। মোবাইল টেলিফোনে জানতে পেরেছি, মুন্সিগঞ্জের অনেক বাস থেকে পুলিশ তল্লাশির নামে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে।”
সরকারের সমালোচনা করে নরসিংদীর শিবপুর থেকে আসা যুবদলের কর্মী বলেন, “আমি নতুন ভোটার হয়েও ভোট দিতে পারিনি, চাকরি পাইনি বিএনপি করি বলে। এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের কষ্টের কথা দেশের মানুষকে জানাতে এই সমাবেশে এসেছি।
“হাজার হাজার বেকার যুবকরা এখানে এসেছেন। এই সমাবেশে যোগ দিয়ে আমিও তাদের সাথে যুক্ত হতে হলাম।”
আয়োজকরা বলছেন, ‘চাকরি বঞ্চিত’, ‘গুমের শিকার’ নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্য, ভোটার হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ‘ভোট দিতে না পারা তরুণ’ এবং এই সরকারের আমলে ‘চাকরিচ্যুত’ তরুণদের কয়েকজন বক্তব্য দেবেন সমাবেশে।
এই তিন সংগঠনের প্রথম ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হয়েছিল গত ১৪ জুন, চট্টগ্রামে। এরপর বগুড়া, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে সমাবেশ হয়।