Published : 26 Sep 2024, 10:53 PM
মাদারীপুরে বিদ্যুৎ অফিসের পুকুরে ১২টি গুইসাপ মরে ভেসে উঠেছে।
কয়েকদিন ধরে ভেসে উঠা গুইসাপগুলো কীভাবে মারা গেল, তা স্পষ্ট না হলেও এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর দিকে।
সম্প্রতি পুকুরটিতে মাছ চাষের উদ্যোগ নেওয়ায় বিষ দিয়ে প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
তবে মাদারীপুর পৌর শহরের ইটেরপুল এলাকায় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কোম্পানি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলীর ভাষ্য, “আমার ধারণা, বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে গুইসাপগুলো। কেউ পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে কীনা বিষয়টি আমার জানা নেই।”
স্থানীয়রা বলেন, অনেক বছর ধরে বিদ্যুৎ অফিসের পুকুরে ১০ থেকে ১৫টি গুইসাপ বসবাস করে আসছে। ময়লা আবর্জনা ও বিষাক্ত পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকত প্রাণীগুলো।
কিন্তু সম্প্রতি পুকুরটিতে একটি পক্ষ মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে।
মাছ খায় বলে কয়েকবারই গুইসাপগুলো মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের।
কয়েকদিন আগে থেকেই গুইসাপগুলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎ ১০ থেকে ১২টি গুইসাপ মরে ওই পুকুরে ভেসে উঠে। বিষয়টি দেখে ডিসিকে জানান এলাকাবাসী।
পৌর শহরের বাগেরপাড় এলাকার রাজিব হোসেন বলেন, “সাপগুলো দীর্ঘদিন ধরে পুকুরে বাস করে আসছে। কিন্তু কিছু দিন আগে ওই পুকুরে মাছ চাষ করেছে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। মাছ যেন খেতে না পারে সেজন্যে পুকুরের পাড়ে বিষ দিয়ে রেখেছিল তারা।”
সেই বিষে এতগুলো প্রাণী মারা গেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এমন নির্মম হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে গুইসাপগুলো হত্যার প্রতিবাদে ওজোপাডিকোর অফিসে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা।
জানাজানি হলে ওজোপাডিকোর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বিষয়টির মোড় অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন।
তিনি দাবি করেন, এটা দুর্ঘটনা। বিদ্যুতের খুঁটি পুকুরে পড়ে গিয়ে পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে গুইসাপগুলো মারা গেছে।
মাদারীপুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিষদের সমন্বয়কারী অজয় কুণ্ডু বলেন, “এই নিরীহ গুইসাপগুলো কেন মরল, সে জন্য প্রাণীগুলোর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হোক। যদি হত্যা করা হয়, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
মাদারীপুর পৌর সভার সচিব ইলিয়াস আহমেদ ফিরোজ বলেন, “গুইসাপগুলোকে পৌরসভার কর্মীরা পুকুর থেকে তুলে মাটিচাপা দিয়েছেন।”