Published : 04 Oct 2024, 08:35 PM
কক্সবাজারের রামুতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে আবেদন না করে চাকরি পাওয়া অভিযোগে এক চিকিৎসক এবং জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এক জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বুরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ স্বাক্ষরিত আলাদা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অব্যাহতি পাওয়া দুজন হলেন- চিকিৎসক (শিক্ষানবিশ) ফাতেমা রহমান এবং জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (শিক্ষানবিশ) সীমা রাণী।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ অগাস্ট বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদানের পর থেকে ফাতেমা রহমানের আচরণ ও কাজকর্ম সন্তোষজনক ছিল না। এ নিয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে সতর্ক ও কারণ দর্শানোর নোটিসও দেওয়া হয়। তার কার্যক্রমের রেকর্ড অনুযায়ী কর্মদক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এ ছাড়া ইনস্টিটিউটের নিরীক্ষা দল মেডিকেল অফিসারের নথিতে আবেদন না করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ফাতেমা রহমানকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব কারণে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা ও নিয়োগপত্রের শর্ত অনুযায়ী ফাতেমা রহমানকে চাকরি থেকে অবসান করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
একইদিন অপর এক প্রজ্ঞাপনে প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সীমা রাণীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগে জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়োগে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, তা সীমা রাণীর নেই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এই পদে ডক্টরেট ডিগ্রি, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ চাওয়া হয়েছিল।
সীমা রাণী তার আবেদনে ডক্টরেট ডিগ্রিতে অধ্যয়ন আছেন উল্লেখ করলেও এ পর্যন্ত কোনো সনদ জমা দেননি বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী সীমা রাণীর কোনো স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি নেই। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি (পাস) কোর্স সম্পন্ন করেছেন। পরে নিয়োগের বাছাই কমিটি তার আবেদন বাতিল করে।
এরপরও অনিয়মের মাধ্যমে সীমা রাণী এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।