Published : 03 Jul 2024, 08:56 PM
ময়মনসিংহ নগরীর ‘প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে পরিচিত আমলাপাড়ার দখল হওয়া শেরপুকুর উদ্ধারে উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার বিকালে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি।
২০১২ সালে স্থানীয় এক প্রভাবশালী পুকুরটির লিজ নবায়ন না করেই দখল শুরু করেন; পরে সেখানে বাউন্ডারি দিয়ে ভেতরে স্থাপনা নির্মাণ করা হয় বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার।
আসাদুজ্জামান বলেন, “স্থানীয় রেজাউল করিম ২৫ শতাংশ পুকুরটি তার নামে ২০১২ সাল পর্যন্ত লিজ নেন। এরপর লিজ নবায়ন না করে শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে পুকুরটি দখল করেন তিনি।”
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পুকুরটি দখলমুক্ত করা হয় বলে জানান তিনি।
নগরীতে অবৈধভাবে যেসব পুকুর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোতে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে জানান সহকারী কমিশনার।
স্থানীয় বাসিন্দা হরে কৃষ্ণ রায় বলেন, চোখের সামনে পুকুরটি ভরাট করে প্রভাবশালীরা। এরপর চারদিকে প্রাচীর দিয়ে ভিতরে স্থাপনা নির্মাণ করে। সেখানে তারা বহুতল ভবন নির্মাণ করার পাঁয়তারা করছিলেন।
“প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। প্রশাসনের এমন সাহসী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শহরের মধ্যে দখল হওয়া বাকি পুকুরগুলো উচ্ছেদ করা হবে এটাই প্রত্যাশা করছি।”
বয়োজ্যেষ্ঠ আসলাম তালুকদার বলেন, “পুকুরটিতে আমরা নিয়মিত গোসল করতাম। শৌখিন মৎস্য শিকারিরা এখানে বড়শি দিয়ে মাছও ধরতেন। কোথাও আগুন লাগলে পুকুরের পানি ব্যবহার করা হত। একের পর এক পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ হওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে শহর।”
শেরপুকুর দখলমুক্ত হওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।