Published : 20 Aug 2024, 12:08 AM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের সময় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাজার রেলওয়ে স্টেশন এবং শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারাদেশে আবার ট্রেন চলাচল শুরু করলেও ওই দুই স্টেশন চালু হয়নি এখনও। নতুন করে স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ ছাড়া ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। এতে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। দ্রুত স্টেশন দুটি সংস্কার করে সেবা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরকার পতনের আগের দিন ৪ অগাস্ট আন্দোলনকারীরা শহরের বাজার রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কাউন্টারে থাকা কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার, ফ্যান ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া আন্দোলনকারীদের একটি অংশ শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশনের নাম ফলক মুছে দিয়ে সদানন্দপুর রেলওয়ে স্টেশন নামে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল এবং উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হলেও স্টেশন দুটি সচল রেখেছে রেল বিভাগ।
সোমবার দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় ট্রাফিক অফিসার (পাকশী) আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগুনে সব আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ঘটনার দিন থেকে ওই স্টেশন দুটির কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
“এ কারণে ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ চলাচল বন্ধ এবং শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ রাখা হয়েছে।”
তবে কবে নাগাদ স্টেশন দুটির কার্যক্রম চালু হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে) আহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের কারণে স্টেশন দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক কিছু লুটপাট হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় এসব স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনক্ষুণ্ন।”
তিনি বলেন, ঘটনার পর সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনের বুকিং সহকারী মাসুদ রানা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। স্টেশন দুটির ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।
জিআরপি থানার কার্যক্রম সচল হলে এ ঘটনায় মামলাও করা হবে বলে জানান রেলওয়ের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: