Published : 17 Jun 2023, 06:39 PM
উন্নয়নের ক্ষেত্রে সব ওয়ার্ডে সমতা-ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সেইসঙ্গে সিটি করপোরেশনে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৫টি ওয়ার্ডকে দ্রুত পরিকল্পনার আওতায় এনে নগরায়নের পরিবেশ নিশ্চিতও করতে চান তিনি।
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট নগরভবন, সবুজ-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব সিলেট, জলাবদ্ধতা দূর করা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ন, নিরাপদ স্বাস্থ্যকর সিলেট, দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা বাড়ানোর মত কর্মসূচির পরিকল্পনা।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, পর্যটন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও নারীবান্ধব সিলেট গড়ে তুলতে চান তিনি। সেইসঙ্গে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান, সাম্প্রদায়িক বন্ধনও সুদৃঢ় করতে চান।
নৌকার এই প্রার্থী বলেন, “নির্বাচিত হলে সিলেটে প্রবাসীদের জায়গা-জমির দখলদারত্ব, ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
“এ ছাড়া বর্তমান নগর ভবনের দিকে তাকালেই বোঝা যায় এর অবকাঠামোগত অবস্থা কী পরিমাণ শোচনীয়। আর ভবনের ভেতরে প্রবেশ করলে দিশেহারা হতে হয়। কোথায় কী আছে; কোন দিকে কোন দপ্তর, তার কোনো সুশৃঙ্খল বিন্যাস নেই। তথ্যকেন্দ্রও অকার্যকর। আমি প্রথমেই এই প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কার্যকর সমাধানে ভূমিকা নেব।”
সিলেট একটি ঐতিহ্যবাহী নগর উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই নগরকে কোনো অবস্থাতেই নোংরা, দূষণ, যানজট ও অনিশ্চয়তার নগর হিসেবে আমরা দেখতে চাই না। বর্ধিত নগর হিসেবে এখনই সময় পরিকল্পিত নগরায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা।”
নিজের সাধ্য, বুদ্ধিমত্তা, যোগাযোগ, প্রচেষ্টা সব মিলিয়ে সিলেটের জন্য কাজ করতে চান বলে জানালেন এই প্রার্থী।
মেয়র হিসেবে চ্যালেঞ্জ নিতে চান জানিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “স্মার্ট সিলেটের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন স্মার্ট নগরভবন। অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলের মাধ্যমে পরিপূর্ণ নাগরিক সেবা প্রদান নিশ্চিতে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করব।”
তিনি বলেন, “নগরবিদদের মত আমারও আকাঙ্খা সুন্দর সমৃদ্ধ সিলেট। বিশেষজ্ঞ মতামত ও জরিপের কারণে এখন আমি এই শহরের প্রতিটি সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে সচেতন। যেসব সমস্যা এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে, তা সমাধানে স্বল্প-মধ্যম-দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পরিকল্পনাও করেছি আমরা। জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে, পাঁচ বছরের মধ্যে সিলেট একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে নাগরিকদের সামনে দৃশ্যমান হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, ১৪ দল এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।