Published : 28 May 2024, 03:39 PM
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে শরীয়তপুরের বিভিন্নস্থানে বৈদ্যুতিক তারের ওপর ভেঙে পড়েছে গাছপালা।
এতে জেলার সাড়ে চার লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
গাছপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও কিছু কাঁচা ঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলি জমিও। তবে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (তথ্য ও প্রযুক্তি) মো. নাজমুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে রোববার রাত থেকে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস শুরু হয়। বৃষ্টি কমলেও মঙ্গলবারও নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় বাতাস অব্যাহত রয়েছে।
দুপুর পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রেমালের তাণ্ডবে শরীয়তপুরের সখিপুর, ভেদরগঞ্জ, গোসাইরহাট, ডামুড্যা, জাজিরাসহ প্রায় সকল অঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে ২৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও ‘বেশি’।
সখিপুরের চরভাগা এলাকার বাসিন্দা রোমান বেপারী বলেন, “রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। হাজী শরীয়তুল্লাহ কলেজ এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে রয়েছে।”
রমিজ খা বলেন, “এখনো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেউ এসে গাছগুলো সরিয়ে দেয়নি।”
গোসাইরহাটের কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মাইজারি গ্রামের বাসিন্দা লিয়াকত আলী মোল্ল্যা বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে আছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমাদের কারও মোবাইলে চার্জ নেই।
“যার কারণে দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নিতে পারছি না।”
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল হাসান বলেন, “বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্কে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সাড়ে চার লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
“লোকবল সংকট থাকায় এত গাছ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সদর উপজেলা ও জাজিরার কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সব লাইন ঠিক করে সংযোগ দেওয়া হবে।”