Published : 03 Jul 2025, 06:10 PM
প্রকৌশল পেশার মর্যাদা রক্ষা এবং পেশাগত মান নিশ্চিত করতে তিন দফা দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এতে সড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বিঘ্ন হয় বলে জানান মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- ১. ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড/সমমান পদে প্রবেশের জন্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং অবশ্যই বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে।
২. কোনো কোটা বা সমমান পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া যাবে না; টেকনিক্যাল দশম গ্রেড/সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে- যাতে ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীরা সমানভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।
৩. বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না- এ বিষয়ে আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আবু নাঈম বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার মর্যাদা রক্ষা এবং পেশাগত মান নিশ্চিত করতে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
নানা বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে পিডিবিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে ৬২.৭ শতাংশ আর ডিপ্লোমা থেকে প্রমোশন প্রাপ্ত রয়েছে ৩৭.২ শতাংশ, এরপরও ডিপ্লোমারা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাবি করছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি প্রকৌশল বিভাগে অনুমোদিত কোটা ছিল ৩৩ শতাংশ কিন্তু বাস্তবে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে ৫১ দশমিক ছয় শতাংশ যা অনুমোদিত নয়। বিসিএসের মতো সর্বোচ্চ মেধাভিত্তিক নিয়োগেও ২০২৪ সালে গণপূর্ত ক্যাডারে প্রকৌশলীদের সংখ্যা মাত্র ২৫ জন।
অন্যদিকে ২০২৪ সালে প্রমোশন প্রাপ্ত প্রকৌশলীর সংখ্যা ১৯ জন, যা ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ নয় বেড়ে হয়েছে ৪৩ শতাংশ, কোটার সীমা লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, বৈষম্যগুলো দূর করা হলে প্রকৌশল পেশায় মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত হবে, ‘ইঞ্জিনিয়ার’ শব্দের অপব্যবহার বন্ধ হবে এবং প্রকৃত পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে।
তার দাবি, এসব ব্যবস্থা না নিলে প্রকৃত ইঞ্জিনিয়াররা অবমূল্যায়িত হবেন এবং পেশার মান ক্ষুণ্ন হবে। দাবিগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মতিহার থানার ওসি আব্দুল মালেক বলেন, তিন দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারি মোড়ে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে আবার ক্যাম্পাসে চলে যায়। এতে যানবাহন চলাচলে সামান্য বিঘ্ন হলে বিকল্প পথ ব্যবহার করে।