Published : 09 Jul 2024, 06:07 PM
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে; এ অবস্থায় জেলার অরক্ষিত নদীর তীর এলাকায় ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মুখলেসুর রহমান বলেন, “সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের মেঘাই স্পার বাঁধ, শাহজাদপুরের হাঁটপাটিল ও চৌহালী উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর প্রতি আমরা সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখছি।
“আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২৪ ঘণ্টা এসব অঞ্চল নজরদারিতে রেখেছেন। যেকোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ বা জিও টিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে কাজিপুরের মাইজবাড়ি স্পার বাঁধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়া অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বিকালে শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে একই সময়ে ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জেলার পাইবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে আর পানি বাড়ার আশঙ্কা নেই। তাই জেলায় বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২১ হাজার ৪৯টি পরিবারের ৯৪ হাজার ২১৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এসব মানুষের জন্য এর মধ্যে ১০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত রয়েছে বলে জানান তিনি।