Published : 28 Nov 2024, 11:38 PM
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক গ্রামপুলিশকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও হিসাব সহকারীকে লাঞ্চিতের ঘটনাও ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. তাজউদ্দিন খন্দকার।
আহত গ্রামপুলিশ আব্দুল গণি মিয়া উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের কিশামত বাগচী গ্রামের নীল মিয়ার ছেলে। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন, কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল কাদের মিয়া এবং হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর বেলাল হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মো. শওকত আলী মানিক মিয়ার স্ত্রী মোছা. নিলুফা ইয়াছমিন তার জন্মনিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যান।
এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুল কাদের ও হিসাব সহকারী বেলাল হোসেন তাকে দুপুরের পর আসতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তিনি।
গ্রামপুলিশ আব্দুল গণি আকন্দ বলেন, “কিছুক্ষণ পর ওই নারী কামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোনাসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে সঙ্গে করে নিয়ে আবার ইউনিয়ন পরিষদের আসেন। এ সময় তিনি সচিব ও হিসাব সহকারীকে গালিগালাজ করতে থাকেন।
“এক পর্যায়ে তাদের ওপর চড়াও হন তারা। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদে কর্তব্যরত গ্রামপুলিশরা বাধা দিলে আমাকে মারপিট করা হয়।”
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ আর এম মাহফুজার রহমান জানান, ঘটনার সময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলেন না। পরে বিস্তারিত জেনে ঘটনাটি সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।