Published : 10 Sep 2024, 08:02 PM
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেড় দশকে পুলিশকে দলীয় সংগঠনে পরিণত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি মো. আশরাফুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “আগামী এক মাসের মধ্যে পুলিশ পুরোদমে কাজ করবে। এরই মধ্যে পুলিশের টহল জোরদার করা হচ্ছে। আতঙ্ক কাটাতে প্রয়োজনে পুলিশ সদস্যদের এক থানা থেকে অন্য থানায় বদলি করা হবে।
“সব পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামানো হবে। মূলকথা পুলিশের চেনা আচরণে পরিবর্তন আনতে চাই। আগামীতে দলকানা পুলিশ থাকবে না আর।”
মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হল রুমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।
এর আগে ৫ অগাস্ট শেরপুর সদর থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত থানা ভবনসহ জেলায় অন্যান্য পুলিশ কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।
ডিআইজি বলেন, “১৫ বছরে আন্দোলনে বিরোধী পক্ষের দাবি-দাওয়া না মেনে গুম, খুন ও গায়েবি মামলা দিয়ে পুলিশকে সবসময় বিতর্কিত করা হয়েছে এটা সত্য। এর আগে পুলিশকে দলীয় সংগঠনের পরিণত করা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিজিয়মের ধারকবাহকের পতন হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিজমের চিন্তা-চেতনার পতন হয়েছে কিনা সেটা আমাদের সময়ের দাবি।”
আশরাফুর রহমান বলেন, “আমরা এখন একটি রক্তের পাটাতনের উপর দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশকে জনগণের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাংবাদিক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল, আবুল হাশিম, মারুফুর রহমান ফকির, ইমরান হাসান রাব্বি, সুলতান আহমেদ ময়না।