Published : 03 Jul 2024, 01:06 PM
শেরপুরের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার থেকে মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান।
তিনি বলেন, “ঝিনাইগাতীর মহারশি নদী ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর ভাঙা বাঁধের মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে নদীর পানি এখন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানির তোড়ে অনেক গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।”
আরও পড়ুন:
শেরপুরে নদীর পানি বেড়ে আকস্মিক বন্যা, বাঁধে ভাঙন
বৃষ্টি না হলেও সকাল থেকে শেরপুরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির বলেন, “অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২০ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা, ১৫ হেক্টর আউশ ও ৯৮ হেক্টর সবজি ক্ষেত আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে।
“একই সঙ্গে ১০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, ১ হাজার ৩৫ হেক্টর আউশ ও ১২৬ হেক্টর সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৫ হেক্টর রোপা আমন বীজলা আংশিকভাবে এবং ২০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা সম্পূর্ণ নিমজ্জিত রয়েছে।”
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “উজান থেকে পানি নেমে আসা ঢলে নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোত যেসব রাস্তাঘাট, বাঁধ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”