Published : 06 Jun 2025, 05:28 PM
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী দেবহাটা উপজেলার চর-বালিথা থেকে বহেরা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কে ভেঙে চলে যাচ্ছে কলকাতা খালে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছেন অন্তত ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা।
খালটিতে আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি সাতক্ষীরার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মো. রাজিউল্লাহ।
তিনি বলেন, এলজিইডির কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা এলজিইডিকে বিষয়টি দেখে করণীয় নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
উপজেলা সড়কটির দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। যার মধ্যে আড়াই কিলোমিটার ভাঙনের কবলে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে তিন উপজেলার যোগাযোগ যেকোনো সময় বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
অতীতে এই কলকাতা খাল ছিল ওপার বাংলায় জলপথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। সেই কলকাতা খালের দুই পাশ দিয়ে চলে গেছে এলজিইডির সড়ক। সম্প্রতি খালের সংযোগস্থলে দেওয়া হয়েছে আড়াআড়ি বাঁধ। ফলে উপজেলা সড়কটির বহু জায়গা ধ্বসে খালে চলে গেছে।
আর এতে গোটা এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিরঞ্জন সরকার।
উপজেলার শশাডাঙ্গা গ্রামের মাজেদ গাজী বলেন, এই সড়কটি ভাঙলে তিন উপজেলার যোগাযোগের রাস্তা কলকাতা খালে ভেসে যাবে।
তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, খালের গতি আটকে রাখা হয়েছে। ফলে যখন জোয়ার আসছে, তখন পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুই পাশের পাকা সড়ক ভাঙনের কবলে পড়েছে।
কদমখালী গ্রামের তাসলিমা খাতুন বলেন, রাস্তাটি ভাঙলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের সঙ্গে খালে প্লাবিত হবে শত শত ঘরবাড়ি। ভেসে যাবে ফসলি জমি ও মাছের ঘের।
কদমখালী গ্রামের অমর কৃষ্ণ বাছাড় বলেন, রাস্তাটি রক্ষায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না করলে বড় বিপদ আসন্ন। পরে সংস্কার করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
শশাডাঙ্গার বাসিন্দা আরিফা খাতুন বলেন, যেকোনো মুহূর্তে জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যেতে পারে পাকা রাস্তাটি। রাস্তাটা এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘেরের রক্ষাকবচ; যা ভাঙলে তলিয়ে যাবে কমপক্ষে ১২টি গ্রাম।
রাত পোহালে ঈদ অথচ তাদের ঘরে আনন্দের চেয়ে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ করা হচ্ছে।
দ্রুত সমস্যা সমাধানে এলজিইজি ও পাউবোকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।