Published : 26 Apr 2024, 12:49 AM
নওগাঁ সদরে ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের করা ‘হয়রানিমূলক মামলার’ প্রতিবাদ এবং প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ীরা।
সেইসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন নেই এমন ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে না লেখার জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
দাবি না মানলে জেলার পাঁচ হাজার ওষুধ ব্যবসায়ী তাদের ড্রাগ লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়ে ব্যবসা থেকে সরে আসার হুমকি দিয়েছেন। মানববন্ধন চলাকালে শহরের সব ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন নওগাঁ সিভিল সার্জন মো. নজরুল ইসলাম।
কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, “চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিক্স সামগ্রী এবং ইউনানি ও ইমপোর্ট করা ওষুধ লিখে থাকেন; যেগুলোর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদন নেই। এ রকম অনেক ব্যবস্থাপত্র ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
“কিন্তু ওষুধ প্রশাসন কোনো কোম্পানি কিংবা চিকিৎসকের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি যৌন উত্তেজক ও অবৈধ ওষুধ বাজারজাত করছে; যা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছি।”
তিনি বলেন, সম্প্রতি এক অভিযানে রেজিস্ট্রেশন নেই এমন ওষুধ রাখার অভিযোগে শহরের ইমতিয়াজ মেডিকেল স্টোরের মালিক আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদ মেডিকেল স্টোরের মালিক রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা করে নওগাঁ ওষুধ প্রশাসন।
এ অবস্থায় ওষুধ ও কসমেটিক আইন সংশোধন করে দ্রুত এসব ‘হয়রানিমূলক মামলা’ ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, তা না হলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
ওষুধ ব্যবসায়ী স্বপন কুমার পোদ্দার বলেন, রেজিস্ট্রেশন নেই এমন দুই শতাধিক ওষুধ চিকিৎসকরা নিয়মিত ব্যবস্থাপত্রে লিখে থাকেন। তারা না লিখলে দোকানে কেউ এসব ওষুধ রাখবে না।
এসব ওষুধ লেখা বন্ধ না করলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম বলেন, “রেজিস্ট্রেশন নেই এমন ওষুধ নিয়ে বিক্রেতা ও চিকিৎসক দুপক্ষেরই দায়বদ্ধতা আছে। তবে এমন ওষুধ চিকিৎসক যেন না লেখেন সেজন্য তাদের সঙ্গে বসা হবে। কাজ না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”