Published : 04 Jul 2025, 09:05 PM
ফরিদপুর শহরে সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের বাসায় গিয়ে হুমকি-ধামকির অভিযোগে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হা-মীম গ্রুপের প্রধান ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাফিজুল খান (৪০) মামলার আবেদন করেন বলে কোতোয়ালী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা আহাদউজ্জামান জানান।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার এ কে আজাদের বাড়িতে সংঘটিত ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। থানার ওসি সাহেব বর্তমানে বাইরে আছেন। তিনি এলে বিষয়টি তাকে অবগত করা হবে।”
এতে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান আসামি করা হয়েছে- ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফাকে। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে আছেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাহরিয়ার হোসেন (৩৮), কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী (৫৬), মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৫৫), মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম (৪৪), মহানগর ছাত্রদল সহসভাপতি ক্যাপ্টেন সোহাগ (৪০)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে একদল উগ্র সন্ত্রাসী হঠাৎ বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মো. মেহেদী হাসানকে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে এ কে আজাদের বাসায় প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বাড়ির ভিতর ঢুকে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকেন।
'আওয়ামী লীগ বৈঠক করছে' অভিযোগে এ কে আজাদের বাড়িতে বিএনপি নেতারা
এতে বলা হয়, এ সময় বাদী ঘর থেকে বেরিয়ে এলে বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর স্যার এ কে আজাদ যেন ফরিদপুর না আসে। যদি আসে তা হলে তাকে হত্যা করে লাশ পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেব।’
“গোলাম মোস্তফাসহ অন্য আসামিরা আরো হুমকি প্রদান করে যে, এ কে আজাদের বাড়িঘর, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যা আছে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ভস্ম করে দেব। জনসেবা করার স্বাদ মিটিয়ে দেব।”
পরে আসামিরা এ কে আজাদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. এম এ জলিল সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা বলেন, “ওই বাড়িতে আওয়ামী লীগের গোপন সভা হচ্ছে- এ তথ্য পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। ওখানে আমি নিজে কিংবা আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তারা কেউ কোনো হুমকি-ধমকি দেয়নি। একটি ঢিলও ছোড়া হয়নি।
তিনি বলেন, “কেউ থানায় অভিযোগ করতেই পারেন। তবে তা তাকে প্রমাণ করতে হবে।”