Published : 19 Oct 2024, 12:08 AM
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে মা ইলিশের প্রজনন রক্ষা অভিযানের প্রস্তুতিকালে অজ্ঞাত লোকদের হামলায় নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের অন্তত ১০ সদস্য আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই অজ্ঞাত ৮০ থেকে ৯০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী আতিকুর রহমান।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও মোশারফ হোসেন, স্পিডবোটের চালক রনি মিয়া, নৌকার মাঝি আলী আকবর, মাঝির সহকারী আবদুল ছাত্তার ও মো. কাউছার, মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য ইমরান হোসেন, মো. রাসেল, কামাল হোসেন ও জসিম উদ্দিন।
আহতদের ঘটনার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।
নৌ পুলিশ ও আহতরা জানান, রাত ৮টার দিকে মেঘনা নদীর আমিরাবাদ এলাকায় মা ইলিশ রক্ষার টাস্কফোর্সের অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় স্পিডবোট ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ছিলেন মৎস্য কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী (ক্ষেত্র সহকারী) ও মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন সদস্য।
হঠাৎ শতাধিক লোক নিয়ে একটি বড় ট্রলার সেখানে আসে। তারা অতর্কিতে বাঁশ, ইট ও চাপাতি নিয়ে টাস্ক ফোর্সের অভিযানকারী দলের ওপর হামলা চালান। এতে মোট ১০ জন গুরুতর আহত হন। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
শুক্রবার রাতে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান বলেন, “এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি হওয়ায় আমরা কাউকে এখনো আটক করতে পারিনি। তবে সহসাই হামলার সঙ্গে জড়িত জেলেদের শনাক্ত করে আটক করা হবে।”
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়। এরপরও তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরছেন। আবার অনেকে ধরার চেষ্টা করছেন।
এটি খুবই দুঃখজনক। হত্যার উদ্দেশ্যেই অভিযানকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় আরও জোরালো অভিযান চালানো হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
মতলব উত্তর থানার ওসি রবিউল হক জানান, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন মৎস্য কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। এ ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।