Published : 17 May 2018, 05:53 PM
উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলি গ্রামের একটি গাভিকে কুকুর কামড়েছে বলে চিকিৎসক বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করলে এই আতঙ্ক দেখা দেয়।
গরুর মালিক বেল্লাল শেখ বলেন, তিনি তার খামার থেকে গ্রামের ১০ পরিবারে দুধ সরবরাহ করেন। ১০ পরিবারের সদস্য শতাধিক। বুধবার তার একটি গরু গুরুতর অসুস্থ হলে তিনি চিকিৎসক দেখান।
“চিকিৎসক গরু দেখে কুকুর কামড়েছে বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন। এতে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কবে কখন কামড়েছে তা বুঝতে পারি নাই। তাই বুধবারও আমি এই গরুর দুধ সরবরাহ করি। আমি নিজেও খাই।”
আতঙ্কের খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফোরকান শিকারি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মশিউর রহমান বলেন, নারী ও শিশুসহ আতঙ্কিত ৯০ জন হাসপাতালে আসার পর তাদের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত। এক মাসের মধ্যে চারটি ভ্যাকসিন নিলে তারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। তাদের আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুকুরে কামড়ানোর ক্ষত রয়েছে। তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
তারা হলেন - কাড়াপাড়া গ্রামের আনিস হাওলাদার (১০), সুমন শেখ (১০), তাওহিদুল ইসলাম (১৩), সোভিক দে (১৪), মিরাজুন্নাহার লুসি (৩৮), ময়না বেগম (৬০), সাইদ শেখ (৩৫), আনোয়ারা বেগম (৩০), জাইমা বেগম (৬০), মো. আলী শেখ (৪৫), হালিমা বেগম (৫৫) ও সবিতা পাল (৪৫)।
আলী শেখ বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। এ সময় পেছন থেকে এসে একটি কুকুর আমার পাছায় কামড় দিয়ে ঝুলে থাকল। আমি চিৎকার শুরু করলেও সে আমার কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে তবে ছাড়ে।”
পরে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সবিতা পালের অভিজ্ঞতাও একই রকম।
তিনি বলেন, “আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় উঠতেই একটি কুকুর দৌড়ে এসে আমার ডান হাত কামড়ে ধরে। আমি জোরাজুরি করে তার হাত থেকে রক্ষা পাই। হাসপাতালে আসলে আমাকে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দিয়েছে।”
একই কুকুর গত দুই দিনে কাড়াপাড়া ও মির্জাপুর গ্রামের অন্তত ৩০ জনকে কামড়েছে বলে কাড়াপাড়া গ্রামের বেল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কুকুরটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।