Published : 25 Jun 2023, 08:27 PM
কুমিল্লা নগরীর শতবর্ষী নারায়ণ পুকুর ভরাটের অভিযোগে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মো. রায়হান মোর্শেদ বাদী হয়ে গত শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আবু ফয়সাল রায়হান নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব।
নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার নমশুদ্র পাড়ায় নারায়ণ পুকুরের অবস্থান। এর জমির পরিমাণ এক একরের বেশি। স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ ও জলাধার সংরক্ষণ আইনের কোনো তোয়াক্কা না করেই নগরীর শত বছরের পুরনো পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছিল।
রোববার মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণ পুকুরের ৩৪ শতাংশ ভরাটের অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়েছে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পুকুর ভরাটের বিষয়ে অধিদপ্তরে অভিযোগ আসে। ২৮ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে ভরাটের সত্যতা পান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পুকুরের জমির মালিক দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার নমশুদ্র পাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবু ফয়সাল রায়হানকে পুকুরটি ভরাট বন্ধ করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হয়।
গত ৩ এপ্রিল তাকে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ে হাজির করে দ্রুত ভরাটকৃত মাটি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা করেননি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক বলেন, “আমরা ভরাটকারীদের বারবার পুকুর ভরাট বন্ধ করে মাটি সরানোর জন্য বলেছি। কিন্তু তারা কোনো নির্দেশনাই মানেননি। সবশেষ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আবু ফয়সাল রায়হানকে প্রধান আসামি করে এ মামলা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে কুমিল্লা পুকুর ও দীঘির শহর। আমরা কুমিল্লার ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করছি। কোথাও পুকুর, ডোবা ও জলাশয় ভরাটের তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রয়োজনে ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। ভরাটকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”