Published : 25 Jan 2025, 04:09 PM
দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তিনদিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে রোদের তেজ নেই, অন্যদিকে বইছে হিমেল বাতাস। সব মিলিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহে জবুথবু জেলার প্রান্তিক জনপদের মানুষ।
কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনে ও রাতে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পথঘাট ও প্রকৃতি।
তীব্র ঠান্ডায় মানুষের সঙ্গে দুর্ভোগে পড়েছে অবলা প্রাণীরাও। তাদের গায়ে চটের বস্তা ও পুরোনো কাপড় পরিয়ে কিছুটা উষ্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকার মানুষদের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে পেটের তাগিদে দেরিতে হলেও কাজে যেতে দেখা গেছে ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের, দৈনিক আয়েই চলে যাদের পরিবার।
তবে এ মানুষদের চোখে-মুখে দেখা গেছে আয়-রোজগার কমে যাওয়ার হতাশা। তারা জানাচ্ছেন ঘন কুয়াশা ও বাতাসের কারণে কাজে যেতে অসুবিধা হচ্ছে তাদের।
বোদা উপজেলার ইজিবাইকচালক জয়নাল জানান, “কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে খুব ধীরগতিতে অটো চালাতে হচ্ছে। সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে ইজিবাইকে যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে।”
জেলার ময়দানদিঘী বাজারের চা বিক্রেতা আনিছুর বলেন, সকাল থেকেই প্রচুর শীত। সকালে বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম। ঠাণ্ডায় বাজারে বসে থাকা কষ্টকর। শীতের দাপটে বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও অনেক কমে গেছে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শীতজনিত রোগব্যাধি। প্রতিদিন জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভিড় জমাচ্ছেন রোগীরা।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে।