Published : 10 Jun 2025, 08:35 PM
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া ১০০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কক্ষে ঢুকে চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈ মারধরের শিকার হন বলে কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান।
আটক সোহেল হাওলাদার (২৫) কোটালীপাড়া পৌর শহরের ফেরধরা গ্রামের আজিজ হাওলাদারের ছেলে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে হাসপাতালের কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা বন্ধের ঘোষণা দেন। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মৃদুল কুমার দাসের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা হয়।
এ ঘটনায় আটক সোহেল হাওলাদার বলেন, বৃহস্পতিবার তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ছাদিয়া খানমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ভর্তির পরে সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিল না। এতে ডেলিভারি করাতে দেরি হয়। তার স্ত্রী ছাদিয়া খানম মৃত বাচ্চা প্রসব করেন। এ কারণে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন।
চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈ বলেন, “আমি কাজ করছিলাম। হঠাৎ একজন অপরিচিত লোক এসে দরজা বন্ধ করে আমাকে মারধর শুরু করেন। আমার চিৎকার শুনে হাসপাতালের কর্মীরা দরজা ভেঙে আমাকে উদ্ধার করেন।
“শুনেছি, সোহেল হাওলাদার কয়েক দিন আগে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। তার স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে দেখা গেছে, হাসপাতালে আনার চার দিন আগে তার বাচ্চা গর্ভেই মারা গেছে। এই রোগীকে আমি চিনি না। তাকে আমি চিকিৎসাও দেইনি।”
সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী ছাদিয়া খানম বলেন, “আমি সন্তান প্রসব করতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে কোনো ডাক্তার পাইনি। ডাক্তার আসতে দেরি করায় আমার বাচ্চা মারা গেছে। এ কারণে আমার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তারকে মারধর করে থাকতে পারে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মৃদুল কুমার দাস বলেন, “একজন লোক এসে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অনুপম বাড়ৈকে মারধর করেছে। মারধরের পরে কোটালীপাড়া থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করব।”
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সোহেল হালদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।