Published : 19 Dec 2024, 05:31 PM
রাজশাহীতে বাস শ্রমিক ও অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনার মীমাংসায় যাওয়ার পথে উভয় পক্ষের মধ্যে ফের হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুনের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ।
মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, “বোয়ালিয়া থানার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) দুই পক্ষের সংঘর্ষের মীমাংসা জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে দুই পক্ষকে আমার চেম্বারে আসার আহ্বান জানাই।”
“তবে নির্ধারিত সময়ে বাস শ্রমিকরা আসলেও অটোরিকশা চালকরা আসেননি। প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর ৬০-৭০ জন অটোরিকশা চালক মিছিল নিয়ে চেম্বারের সামনে এসে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পাখিকে খুঁজতে থাকে। ”
মামুন বলেন, “এক পর্যায়ে মহানগর যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মায়নুল হাসান হারুর নেতৃত্বে অটোরিকশা চালকরা ৩-৪ জন বাস শ্রমিককে পিটিয়ে জখম করে। যাদের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এভাবে মীমাংসায় বাধা প্রদান ও মারামারি করাকে ‘ষড়যন্ত্র’ দাবি করে তিনি বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার কাছে মনে হয়েছে উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করাটা প্রয়োজন। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ নিজেদের খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য এ ঝামেলাটা সমাধান চাচ্ছে না। সেজন্যই তারা এ মিমাংসাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
“আমি চাই আমি বাদে অন্য কারো মাধ্যমেও যদি তারা সমাধান নেয় তাহলে নিক, তবুও দুই পক্ষের মধ্যে অতি দ্রুত মীমাংসা হোক এবং সবাই স্বাভাবিকভাবে সকল গাড়ি চালাক।”
এ ব্যাপারে জানতে মায়নুল হাসান হারুর সঙ্গে তার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি নেতা মামুন ভাইয়ের ডাকে আমরা গিয়েছিলাম মীমাংসা জন্য। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।”
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, “বাস শ্রমিক ও অটোচালকদের বিরোধ মীমাংসার জন্য নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদকে বলা হয়েছিল। তিনি দুই পক্ষকে ডেকেছিলেন। সেখানেও দুই পক্ষ ঝামেলা করেছে।
খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এর আগে সোমবার তানোর উপজেলা সদরের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকেরা বাসের পাঁচজন চালক, চালকের সহকারী ও সুপারভাইজারকে পিটিয়ে আহত করেন।
এ ঘটনার পর রাজশাহী থেকে সব পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস শ্রমিকরা, যা ৭ ঘণ্টা পর চালু হয়।
এর জেরে পরের দিন বাস শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে প্রায় ৭০টি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে।
তবে সব বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও তানোর উপজেলা রুটে বন্ধ রয়েছে।
পুরানো খবর...
রাজশাহীতে এবার অটোরিকশার স্ট্যান্ডে 'বাস শ্রমিকদের' হামলা, আহত অন্তত ১২
অটোরিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ: রাজশাহী থেকে বাস চলাচল বন্ধ