Published : 23 Jun 2025, 05:04 PM
রাজশাহী নির্বাচন কার্যালয়ে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি তৈরি, ভোটার তালিকায় নাম স্থানান্তরসহ নানা সেবায় গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে নির্বাচন কার্যালয়ে কর্মরত আউটসোর্সিং কর্মীদের মাধ্যমে নগদ অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে দুদক।
তবে দুদকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান।
দুদকের রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমীর হোসেন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে টাকা নেওয়ার দুটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করছেন; তারা নতুন এনআইডি, ভোটার স্থানান্তরসহ বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে জনপ্রতি ২৩০ টাকা করে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কমিশনে লিখিত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।”
দুদকের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, “আমাদের অফিসে কেউ হয়রানির শিকার হন না, আমরা কারও কাছ থেকে টাকা নেই না। তবে পাসপোর্টের জন্য এনআইডি যাচাইয়ের কাজ অহেতুক আমাদের কাছে পাঠানো হয়।
“তখন বাইরে আউটসোর্সিংয়ে কাজ করা কিছু লোক দু-একশ টাকা নেন। পাসপোর্ট অফিস চাইলে নিজেরাই এনআইডি যাচাই করতে পারেন; সেটা না করে তারা কেন আমাদের কাছে পাঠান, বুঝতে পারি না।”
রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান বলেন, “দুদক যখন অফিসে আসে, আমি তখন একটি সভায় ছিলাম। তাই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।”
ভুক্তভোগীদের দাবি, নির্বাচন কার্যালয়ে সেবা নিতে গিয়ে শুধু সময় নষ্ট নয়, অতিরিক্ত টাকা না দিলে কাজ সময়মত কাজ হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই আউটসোর্সিং কর্মীদের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে বাধ্য হন তারা।
দুদকের এই অভিযান নির্বাচন কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়মের একটি বড় প্রমাণ হিসেবে দেখছেন সচেতন মহল। ঘটনা তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।