Published : 16 Oct 2024, 03:03 PM
বঙ্গোপসাগরের গভীরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ভারতীয় পতাকাবাহী দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩১ জেলেকে আটক করেছে নৌ-বাহিনী।
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষাসহ ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন নিশ্চিতে মাছ ধরায় ২২ দিনের চলমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সোমবার ট্রলার দুটি আটক করা হয়।
বুধবার সকাল ১১টায় পায়রা বন্দরের জেটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান বানৌজা শহিদ আখতার উদ্দিন জাহাজের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট মো. মোসিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, সোমবার বঙ্গোপসাগরের গভীরে ‘অপারেশন নির্মূল’ এর নিয়মিত প্যাট্রোলিং চলার সময় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিএনএস শহীদ আখতার উদ্দিনের রাডারে সন্দেহজনক ট্রলারের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তথ্য বিশ্লেষণ করে ট্রলার দুটিকে বিদেশি পতাকাবাহী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
এ সময় ফিশিং ট্রলার দুটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌ-বাহিনী জাহাজ শহীদ আখতার উদ্দিন ধাওয়া করে সেগুলো বাংলাদেশের জলসীমার ভেতরেই আটক করতে সক্ষম হয়।
লেফটেন্যান্ট মো. মোসিউল আরও বলেন, আটক করা ট্রলার দুটি ভারতীয় পতাকাবাহী ফিশিং ট্রলার। ট্রলারগুলোয় মোট ৩১ জন সদস্য ছিল। তারা সবাই ভারতীয় নাগরিক।
আটক করা ফিশিং ট্রলার দুটি পরবর্তীতে পটুয়াখালীতে নিয়ে আসা হয় এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রলার ও জেলেদের কলাপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তবে সংবাদ সম্মেলনে আটক জেলেদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, এখনও নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে এজাহার দায়ের করা হয়নি। এজাহার পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলাপাড়া মৎস্য অফিসার অপু সাহা বলেন, নৌ-বাহিনী আটক জেলেদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। আদালত সিদ্ধান্ত দিবেন এই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম কি হবে।