Published : 02 Jul 2023, 03:57 PM
গত চারদিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণায় প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি বেড়েছে। তবে কোথাও কোন এলাকা প্লাবিত হয়নি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, “রোববার উব্ধাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এ ছাড়া সোমেশ্বরী, কংস ও ধনু নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে বইছে।
“তবে দুপুর নাগাদ জেলার নদী তীরবর্তী কোনো নীচু এলাকা প্লাবিত হয়নি। হাওরাঞ্চলের খালিয়াজুরীতে একেবারে নীচু এলাকায় কিছু পানি গেলেও কোনো বাড়িঘরে পানি ঢোকেনি।”
তিনি আরও জানান, “গত দুই দিনে জেলায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদি বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে কিছু নীচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।”
কলমাকান্দা সদরের বাসিন্দা অমিতাভ দাস বলেন, “বর্ষার ভর মওসুম চলছে। কিন্তু এতোদিন পানি আসে নাই। গত চারদিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে উব্ধাখালি নদী ভরেছে। এখন নৌযান চলাচল করতে পারছে।
“তবে নদীর পানি এখনও উপচে প্রবাহিত হয়নি বা নীচু এলাকা প্লাবিত হয়নি। কিন্তু এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।”
খালিয়াজুরীর আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমান আলী বলেন, “আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি চলছে। এতোদিনে হাওরে পানি আইছে। এখন মাছ আইবো। নৌকায় যাতায়াত করতে পারব মানুষ। আমাদের এলাকায় বিয়েশাদি এই বর্ষাকালেই হয়। এখন এ ধরনের অনুষ্ঠানাদি শুরু হবে।”
“বৃষ্টি আর ঢলের পানি এলেও আমাদের এলাকাতে বাড়িঘরে পানি ঢুকেনি। পরিস্থিতি পুরাই স্বাভাবিক। এইটুকু পানি না অইলে কেমনে চলবো। পানির দেশে পানি না থাকলে কি চলে?”
এদিকে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টি হলেও এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পানি বাড়লে কোনো এলাকা প্লাবিত হলে তা মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় সভা করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুদ রয়েছে।