Published : 02 Mar 2025, 12:44 AM
এক-দেড় মাসের মাথায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
প্রধান প্রধান কয়েকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন মার্চের মধ্যে পাওয়ার আশা করে তিনি বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন হাতে পেলে এক-দেড় মাসের মাথায় আনুষ্ঠানিক বিচারের যে প্রক্রিয়া সেটা শুরু হয়ে যাবে।”
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে একটি কর্মশালায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মামলায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “বিচার কাজে কোনো তাড়াহুড়ো নয়, কিন্তু অহেতুক বিলম্ব করে যাতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নষ্ট না হয় সেদিকে নজর থাকবে।”
মানবতাবিরোধী অপরাধ আর সাধারণ অপরাধ সমান নয় উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, “বাংলাদেশের আইনে মার্ডার, মাদক পরিবহন, রেইপ ও অস্ত্র রাখার জন্য মৃত্যুদণ্ড আছে। সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ; যাকে বলা হয় ‘অপরাধের অপরাধ’ সেই জায়গায় মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া বা না রাখা এটা বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষপটে বাস্তবসম্মত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “বাকিটা আদালতে উপর নির্ভর করবে, যে মৃত্যুদণ্ড আইনে আছে। কিন্তু কাকে কতটুকু সাজা দেওয়া হবে, কী- হবে না সেটা আদালতের উপর নির্ভর করবে। এই পর্যায়ে বাংলাদেশ মৃত্যুদণ্ড উঠিয়ে দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশ আছে বলে মনে করছি না। এবং সে ব্যাপারে আমরা চিন্তিতও নই।”
তিনি বলেন, “এই ট্রাইবুন্যালকে বিতর্কিত করার জন্য পরাজিত দোসররা নানাভাবে চেষ্টা করবে, এটা নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করবে। সেগুলো কাউন্টার করাই আমাদের দ্বিতীয় পর্বের চ্যালেঞ্জ। সর্বপরি আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এটা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের শাস্তিটা নিশ্চিত করা। এই দুটো জিনিসের মাঝখানে ভারসাম্য রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্মশালায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানসহ বিচার বিভাগ, সিলেট বিভাগের পুলিশ, প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।