Published : 27 Aug 2024, 11:56 PM
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা বিএনপির এক নেতার ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ ১০৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।
ঘটনার নয় দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু।
মামলায় কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাজুল ইসলামকে হুকুমের আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞতা পরিচয় ৮০ থেকে ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি করেছেন লাকসাম পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির আহমেদ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আইনজীবী কাইমুল হক বলেন, “আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য লাকসাম থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে।”
উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তাজুল ইসলামের শ্যালক মহব্বত আলী, লাকসাম পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ, মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, লাকসাম পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল খায়ের, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, লাকসাম পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খলিলুর রহমান এবং তাজুল ইসলামের ভাতিজা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার এলাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও তার স্ত্রীসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আদালতে বিএনপি নেতা মনির আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
মনির আহমেদ জানান, মামলার ঘটনার পর থেকে তাজুল ইসলামের নির্দেশে তার লোকজন বাদীর ওপর নির্যাতন, হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকেন।
১৪ জুলাই মামলার হাজিরা দিতে কুমিল্লার আদালতে গেলে আসামিরা তার ওপর হামলা চালায়। পরে বিষয়টি আদালতকে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ৩ অগাস্ট লাকসাম পৌরসভার নশরতপুর এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হুমকি দেন আসামিরা।
“সবশেষ ১৮ অগাস্ট মামলা তিন নম্বর আসামির নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এমনকি গুলি করে হত্যা চেষ্টাও করা হয়।”
সেই সময় মামলার প্রধান আসামি তাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বাদীকে মেরে ফেলার জন্য তার লোকজনদের নির্দেশ দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মনির আহমেদ বলেন, “তাজুল ইসলামের নির্দেশে আমার ওপর বারবার নির্যাতন চালানো হয়েছে। মামলাটির সঠিক তদন্ত দাবি করছি।”
এ বিষয়ে জানতে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার করা হলে তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।