Published : 10 Jan 2025, 05:55 PM
শত শত মানুষের কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে খালি বস্তা। কেউ আবার ভাঙা জায়গায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিচ্ছেন। বালু ভরে ফেলা হবে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে। পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় এই আয়োজন করছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার সকাল থেকে এভাবেই শুরু হয় নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের শিবপুর কাওয়াবাড়ী নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে।
স্থানীয়রা জানান, লেংগুরা ইউনিয়নের কাওয়াবাড়ী নদীর বেড়িবাঁধ দিয়ে তিনটি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। প্রতিদিন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করে। কিন্তু গত বর্ষায় বেড়িবাঁধ ও বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তা ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের।
শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও লেংগুরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া স্থানীয়তের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দীন বলেন, বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ভাঙা জায়গায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাঁধ সংস্কার হলে যাতায়াতের মাধ্যম সহজ হবে।
তার ভাষ্য, বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের কাজ শেষ হলে রক্ষা পাবে হাজারো কৃষকের ফসল।
লেংগুরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “সীমান্তবর্তী লেংগুরা ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে প্রতিবছর ব্যাপক ক্ষতি হয়। সরকারি অর্থায়নে সব কাজ শেষ হয় না। তাই নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ শুরু করেছি। তিন দিনের মধ্যে দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও গ্রামীণ রাস্তার কাজ শেষ হবে।”