Published : 04 Jun 2023, 10:42 PM
কিশোরগঞ্জ সদরে মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানার জমি ‘দখলের’ প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে মাদ্রাসাছাত্র ও এলাকাবাসী।
রোববার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এতে মাদ্রাসার ৫ শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
একটি ‘দখলদার চক্রের’ বিরুদ্ধে সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামে ‘খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) মাদ্রাসা’, মসজিদ ও এতিমখানার সম্পত্তি দখলের অভিযোগ এলাকাবাসীর।
মানববন্ধনে মৌলভী লুতফুর রহমান, মুফতি দ্বীন ইসলাম, মুফতি সোয়াইব, মোহাম্মদ রূপন উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অবিলম্বে ‘ভূমিদস্যুদের’ হাত থেকে জমি উদ্ধার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান।
মানবন্ধন শেষে দখল করা জমি উদ্ধারে সহায়তা চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মাণের জন্য ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় রাবিয়া আক্তার খাতুন এবং তার দুই ছেলে ডা. রাজিবুল ইসলাম রাজন ও ডা. সজিবুল ইসলাম–এ তিনজন মিলে দুটি দলিলে ৩০৮ শতাংশের অধিক জমি দান করেন। সে জমিতে ২০১৪ সালে মসজিদসহ খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মিত হয়।
পরবর্তীতে ২০২০ সালে করোনা মহামারী চলাকালে স্থানীয় বাসিন্দা হাছু মিয়া, বাচ্চু মিয়া, রাজন মিয়া, সুজন মিয়া, রিপন মিয়াসহ অসাধু একটি চক্র মাদ্রাসার জমির সীমানা খুঁটি উপড়ে ও কাঁটা তার কেটে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আনুমানিক ৫০ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়। মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ‘ওয়াকফ’ করা জমি দখলে নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার জমি দখলে নিয়ে দখলকারী দুস্কৃতিকারীরা উক্ত জমিতে মাদক ও জুয়াসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়।