Published : 07 Dec 2023, 06:05 PM
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইমাম হাসান এ নোটিস দিয়েছেন।
চিঠিতে রোববার বেলা ১১টায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। আর নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ।
কালাম দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার বলেন, “বাঘের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা আছে, কিন্তু রাজী ফখরুলের থাবা থেকে বাঁচার ক্ষমতা কারও নেই। রাজী ফখরুল তো পরের কথা আগে আমাদের থাবা থেকে বাঁচ।
`কম্পিটিশন তো দূরের কথা পারলে সামনে দাঁড়া’, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি
“আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম। আরে কম্পিটিশন তো দূরের কথা, তোর ক্ষমতা থাকলে পারলে আমার সামনে দাঁড়া।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে উদ্দেশ্য করে লিটন আরও বলেন, “আমি আজকে বলতে চাই, তুই কত বড় সেনা হইছত, কত বড় গুণ্ডা হইছস। এই আবু কালাম তুই কবে ছাত্রলীগ করছত, কবে যুবলীগ করছত, কবে আওয়ামী লীগ করছত? নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করতাছত। তুই এটা বুজছ না কোনটা ডামি প্রার্থী, কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী আর কোনটা বিদ্রোহী প্রার্থী।
“তুই তো বিদ্রোহী প্রার্থী। আমি তোর বাড়িতে গিয়া তরে ধরমু। মুখ খারাপ করে লাভ নাই। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের পৈত্রিক যা সম্পত্তি আছে, এটার কোটাডা কেনার মত তোর ক্ষমতা নাই।”
লিটনের ওই বক্তব্যের ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবরও ছাপানো হয়। এরপরই লিটনের কাছে কারণ দর্শাও নোটিস আসে।
চিঠিতে বলা হয়, “আপনার বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ১১(ক) বিধির লঙ্ঘন। ওই ভিডিও ক্লিপটি কমিটির কাছে সংরক্ষিত আছে।
এ অবস্থায় ওই বিষয়ে আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেনো নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না সেই মর্মে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।”