Published : 18 Jan 2024, 09:32 PM
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কার্টনে ৪২ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এক সার্ভেয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় সার্ভেয়ার কাওসার আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম বলেন, কাওসার (৪৩) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর রাতে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
এদিকে, জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির মামলায় সার্ভেয়ার কাওসার আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের প্রাক্তন আউটসোর্সিং কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম সুমন (২৮) একটি কার্টনসহ নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক হন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কার্টন খুলে টাকা গুনে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। পরে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে টাকাগুলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কোষাগারে জমা রাখা হয়।
“জব্দ করা ৪২ লাখ টাকার সঙ্গে দুর্নীতির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে ধারণা করে ১৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক দুদকে চিঠি দেন। পরে ১৬ জানুয়ারি দুদক তাদের জেলা কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় জাহিদুল ইসলাম সুমন ও কাওসার আহমেদকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় দুপুরে দুদকের অভিযানে কাওসারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে টাকা নিয়ে ধরা পড়ার পর এক ফাঁকে জাহিদুল ইসলাম সুমন পালিয়ে যান বলে জেলা প্রশাসন জানায়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, “টাকা উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সুমন জানায়, এই টাকা এক ব্যবসায়ীর। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসা করে এর সত্যতা মেলেনি। উপরন্তু তিনি অভিযোগ করেছেন, সার্ভেয়ার কাওসার তাকে ওই টাকা নিজের বলে দাবি করতে অনুরোধ করেছিলেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ব্যবস্থা নিতে আমি দুদকে চিঠি দেই।”