Published : 20 Apr 2024, 06:26 PM
পাবনা শহরে একজনের মৃত্যু হয়েছে; অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে বা হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে চিকিৎসকের ধারণা।
মৃত ৬০ বছর বয়সী সুকুমার দাস পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার জাকিরের মোড় এলাকার বাসিন্দা।
পাবনা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “শালগাড়িয়ার এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল লোকজন। এখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল।
“আমরা অনুমান করছি, প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে মারা গেছেন তিনি। পরে তার পরিবার এসে মরদেহ নিয়ে গেছে।”
পাবনায় শনিবার সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তীব্র দাবদাহ পুড়ছে গোটা পাবনা জেলা। অসনীয় গরমে অতিষ্ঠ জেলার মানুষের জীবন। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যা।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, “কয়েকদিন ধরেই পাবনায় ৪০ ডিগ্রি বা এর বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
“এর আগে এতো তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
শুক্রবার উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে, যা ঈশ্বরদীতে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। কিন্তু শনিবারের তাপমাত্রা আরও বেশি বলে জানান আবহাওয়া অফিসের এ কর্মকর্ত।
তিনি বলেন, “এই তাপপ্রবাহের ফলে পাবনা ও ঈশ্বরদীর আশেপাশের এলাকার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।”
তীব্র গরমে শ্রমজীবী মানুষরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। বাইরে বের হওয়ার সময় অধিকাংশ মানুষই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছেন।
পাবনা শহরের বাসিন্দা শাহজাহান সাজু বলেন, “গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে বিশেষ করে দুপুরের সময় রাস্তায় বের হওয়াই কষ্টকর হয়ে গেছে। তারপরও কাজের কারণে আমাদের বের হতে হচ্ছে। অতীতে এরকম গরম দেখি নাই।”
তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোক করে একজন মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা সড়কের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে তাপ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পাবনা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। ডায়াবেটিস ও প্রেসারের রোগীদের রোদে না যাওয়াই ভালো। রাস্তায় সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে।”