Published : 19 Feb 2023, 09:43 PM
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার আরেকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
রোববার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদাত হোসেন প্রামাণিক সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এই আদালতের পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল জানান, সাক্ষী শফিকুর রেজা বিশ্বাস ওই সময় হবিগঞ্জে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। বর্তমানে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার। তিনি তিন আসাসির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওই আসাসিরা হলেন জয়নাল আবেদীন মুমিন, জমির আলী, মো. তাজুল ইসলাম।
এই মামলার ১৭১ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে বলে পিপি সরওয়ার জানান।
আগমী ১৯ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয় বলে জানান পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল।
২০০৫ সালর ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জন।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা তিন দফায় তদন্ত করে সিআইডি।
২০০৫ সালের ১৮ মার্চ প্রথম দফায় শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেন বাদী মজিদ খান।
২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আবার সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০১১ সালের ২০ জুন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনকে আসামি করে অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ২৮ জুন শাহ এএমএস কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া এই অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি আবেদন করেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর সিআইডি সিলেট রেঞ্জের জ্যেষ্ঠ এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী, বদরুল ওরফে মো. বদরুল, মাওলানা তাজ উদ্দিন ও মো. মুহিবুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মিজানুর রহমান মিটু, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমদ আরিফ প্রকাশ নিমু, বদরুল আলম মিজান, মাওলানা শেখ ফরিদ আহমদ, আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মুহিবুল্লাহ ওরফে মুজিবুর রহমান প্রকাশ অভি ও মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ১২ জন জামিনে রয়েছেন।