Published : 16 Dec 2023, 09:48 PM
বিএনপি সঠিক পথ থেকে সরে গিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
তিনি বলেছেন, “বিএনপি নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে না। দলে থাকার সময় কোনো মর্যাদা পাইনি। কোনো সভায় গেলে দেখা যেত, ব্যানারে আমার চেয়ে অনেক ছোট বয়সের নেতাদের নাম ওপরে থাকত, আমার নাম নিচে থাকত। আমি তখন খুবই লজ্জার মধ্যে পরতাম।”
শনিবার বিকালে ফরিদপুরের মধুখালী পৌর সদরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (মধুখালী-বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনে বিএনএমের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
মধুখালীর বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, “একটা সময় মনে হল, রাজনীতি ছেড়ে দিব। কিন্তু কাছের মানুষরা বলল, রাজনীতি ছাড়া যাবে না। বিএনএম নামে নতুন একটি দল গঠন করে তার দায়িত্ব তারা আমাকে দিয়েছে।”
কোনো অর্থের বিনিময়ে দল গঠন করেননি দাবি করে তিনি বলেন, “অনেকেই বলে থাকেন, বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে শাহ জাফর বিএনএম গঠন করেছে।
কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে এলে আমি সেখান থেকেই মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতাম; ধানের শীষের প্রার্থী হতাম। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিল না, আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। সেকারণে বিএনএম দল গঠন করে প্রার্থী হয়েছি।”
নির্বাচনে এসে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাবি করে একাধিকবারের সংসদ সদস্য আরও বলেন, “পিটার হাসের কথা শুনে তারা (বিএনপি) বেশি উৎসাহিত ছিল এবং তাদের ধারণা ছিল, পিটার হাস এদেশের নির্বাচন বন্ধ করে দেবে। শেষ পর্যন্ত পিটার হাস চুপ হয়ে গেছেন। এ কারণে আমি মনে করি, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে।
এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় আল্লাহতায়ালা অনেক ক্ষমতা দিয়েছিল। ওই সময় মানুষকে হত্যা করলে কোনো কৈফিয়ত দেওয়া লাগত না। আমি কিন্তু ওই সময় কারো কোনো ক্ষতি করিনি। দেশের মানুষের জন্য জীবনবাজী রেখে যুদ্ধ করেছি, দেশকে স্বাধীন করেছি।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন আমাকে আশ্বাস দিয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যার ভোট সে কেন্দ্রে গিয়ে দিতে পারবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এ কারণেই আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।”
সভায় জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন শাহ জাফর।
এ সময় স্থানীয় গোলাম মনসুর নান্নু, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সরদার, সৈয়দ আবুল বাশার, শাহ মুহাম্মাদ খৈয়ম, খন্দকার মো. ওবায়দুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মালেক নান্নু, জাফর সরদার, তাহমিনা জাফর, শাহজাহান মাস্টার ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান, বিএনএমের শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, জাতীয় পার্টির আকতারুজ্জামান খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুর ইসলাম শিকদার, জাকের পার্টির আব্দুর রউফ মোল্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন এবং কেন্দ্রিয় মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।